টুইটারে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। এ নিয়ে ফুটবলবিশ্ব যখন তোলপাড়, তখন মুখে কুলুপ এঁটে রাখেন এই মার্কিন ধনকুবের।
বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে করা টুইট-বার্তায় ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনে নিচ্ছি। আপনাদের স্বাগতম। ’
টুইট করে আর কিছু বিস্তারিত জানাননি ইলন মাস্ক। এমনকি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নেরও আর কোনো উত্তর দেননি তিনি। তবে মাস্কের এমন ঘোষণা সিরিয়াসলি নিয়েছেন কম মানুষই। কেননা প্রায়ই নানান বিষয়ে টুইটারে এক-দুই বাক্যের বার্তা দিয়ে থাকেন তিনি; যা পরে মজা করার অংশ হিসেবে উল্লেখ করতে দেখা যায় তাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ইউনাইটেড কেনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেছেন, 'এটা টুইটারে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কৌতুকগুলোর একটি। আমি কোনো ক্লাব কিনছি না। যদিও, যদি কোনো কিনি, তাহলে তা হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-ই। তারা আমার শৈশবের প্রিয় ক্লাব। '
বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকানা রয়েছে আমেরিকান গ্লেজার পরিবারের অধীনে। গতবছর ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, অন্তত ৪ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪.৮৪ বিলিয়ন ডলার) পেলে ইউনাইটেড ক্লাবকে বিক্রি করতে রাজি গ্লেজার পরিবার।
ইলন মাস্কের টুইটের পর গ্লেজার পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বর্তমানে প্রায় ২৬৯ বিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক। তাই তার পক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ইউনাইটেড কিনে নেওয়া অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। কিন্তু মাস্ক মজার ছলেই এ ধরনের কথা বলেন। পরে দেখা যায়, সেগুলো সত্য নয়।
মাস্কের টুইট ঘিরে এর আগেও ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। গত ১৭ এপ্রিল এক টুইটে তিনি লেখেন, 'এরপর আমি কোকা- কোলা কিনতে যাচ্ছি এবং এতে কোকেন ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। ' এর কিছুদিন আগেই টুইটার কিনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে চমকে দেন তিনি। এমনকি তার প্রস্তাবে সাড়াও দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপর আবার মত বদলে ফেলেন তিনি।
আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনে নেওয়ার ব্যাপারে আইনি লড়াই লড়ছেন ইলন মাস্ক। টুইটার কিনে নিতে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টুইটারে ফেক প্রোফাইলের সংখ্যা বেশি অভিযোগ করে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাচ্ছেন মাস্ক। যা নিয়ে মামলা চলমান।
মাস্ক এমনকি নিজের প্রতিষ্ঠিত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা নিয়েও মিথ্যাচার করেছিলেন। বিনিয়োগকারীদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পরে মাস্ক ও টেসলা উভয়কেই ২০ মিলিয়ন ডলার করে জরিমানা করে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এমনকি টেসলার চেয়ারম্যানের পদ থেকেও পদত্যাগ করতে হয় রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতাকে। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এমএইচএম