ঢাকা: পরিবারের একজন সদস্যের মতো সহানুভূতি-সহমর্মিতা নিয়ে রোগী ও রোগীর স্বজনদের পাশে থাকার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করেছে ‘ব্র্যাক হেলথকেয়ার সেন্টার’।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ ব্র্যাকের প্রথম হেলথকেয়ার সেন্টারটি উদ্বোধন করেন।
ব্র্যাক হেলথকেয়ার সেন্টারটি উদ্বোধনকালে সংশ্লিষ্টরা জানান, এটি একটি আউটপেশেন্ট ক্লিনিক, যেখানে মিলবে পরিবারের প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্যসেবা। সেন্টারটিতে এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রামসহ সর্বাধুনিক ইমেজিং টেকনোলজি সুবিধা রয়েছে। সেইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্ভুল ফলাফলের জন্য থাকছে উন্নতমানের ল্যাবরেটরি।
নিরাপদ ওষুধ পেতে এখানে থাকবে সরকার নিবন্ধিত একটি মডেল ফার্মেসি। যেখানে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্টরা দায়িত্বে থাকবেন। থাকছে ডেন্টাল চেকআপ, টিথ ক্লিনিং, কসমেটিক ফিলিং, টুথ এক্সট্র্যাকশনসহ নানা সেবা। ফিজিওথেরাপি, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ পাওয়া যাবে এখানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্র্যাক তামারা হাসান আবেদ বলেন, ভবিষ্যতে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে এ রকম আরও ক্লিনিক গড়ে তোলা হবে, যা হয়ে উঠবে পরিবারের একজন সদস্যের মতোই আস্থাভাজন।
তিনি বলেন, ব্র্যাক হেলথকেয়ার এমন একটি সামাজিক উদ্যোগ যার প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে রোগীর প্রাপ্য সেবাটুকু নিশ্চিত করা। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশব্যাপী এমন কতগুলো আউটপেশেন্ট ক্লিনিক গড়ে তোলা, যা স্বাস্থ্যসেবার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠবে। এখানে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মিলবে সর্বোচ্চ মানের সেবা। স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে মানুষকে যে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা টানতে হয়, সেটা লাঘব করাও আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হলেও আগামী শুক্রবার (১৭ মার্চ) থেকেই প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মিরপুরে বেগম রোকেয়া সরণির ৮৪০ কাজীপাড়ায় ‘ব্র্যাক হেলথকেয়ার সেন্টার' স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্ম উন্মুক্ত হবে। সরাসরি সেন্টারে এসে সেবা নেওয়া যাবে অথবা ব্র্যাক হেলথকেয়ার সেন্টারের হটলাইন নম্বরে (+৮৮ ০৯৬৭৮১৯১৯১১) কল করে আগে থেকে অ্যাপয়েনমেন্ট করেও আসা যাবে।
অনুষ্ঠান শেষে তামারা হাসান আবেদ গণমাধ্যমেরকর্মীদের নিয়ে সেন্টারটি ঘুরে দেখান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে রোগীর চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। আমাদের এখানে চিকিৎসকরা যেন প্রয়োজনের বাইরে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ওষুধ প্রেসক্রাইব না করে তেমন একটা পদ্ধতি আমরা এখানে চালু করছি। এতে রোগীর অপ্রয়োজনীয় ব্যয় অনেকে কমে যাবে।
নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকায় আরও কয়েকটি সেন্টার চালুর পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানেও শাখা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
আরকেআর/আরবি