ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৪০ জনের অপারেশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৪০ জনের অপারেশন

ঢাকা: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব-দুস্থ ৪০ জন রোগীর নিখরচায় চোখের ছানি, মাংস বৃদ্ধি ও নেত্রনালির অপারেশন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের যৌথ  উদ্যোগে দিনব্যাপী এ অপারেশন কার্যক্রম চলছে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন মজুমদার গোলাম রাব্বি, ডা. আক্তার ফেরদৌসি জাহান।  মোট ৪০ জন রোগীর (২৪ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী) অপারেশন করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৩৬ জনের চোখের ছানি অপারেশন, চারজনের মাংস বৃদ্ধির অপারেশন হচ্ছে।  

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পাবলিক রিলেশন অফিসার ফাইজা রহমান বলেন, গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারাদেশে নিখরচায় এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পের মাধ্যমে বাছাই করা প্রায় ২৭৯৭ জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে নিখরচায়।    

এ ক্যাম্পটি চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের ঝাপুয়া আশ্রাফিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়। ওই ক্যাম্পে মোট ২০০০ রোগীকে বিনামূল্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮০ জনকে ছানি, নেত্রনালি ও মাংস বাড়ার কারণে চোখ অপারেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আজ তাদের মধ্যে  ৪০ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে।   

এ ক্যাম্পে কুমিল্লার বড়ুরা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তাহেরা বেগমের ডান চোখের ছানির অপারেশন হয়েছে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল আমি এখানে এসেছি। ঢাকায় আসা ও ফিরে যাওয়াসহ থাকা খাওয়ার সব ব্যবস্থাই তারা করছেন। আমি গরিব মানুষ, আমার চিকিৎসা করানোর অবস্থা নেই। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক ও ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই, তারা আমার জন্য এ ব্যবস্থা করেছেন।  

কুমিল্লার মাটিয়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ৭৫ বছর বয়সী এনামুল হক বলেন, আমার দুই চোখেই দেখতে সমস্যা হচ্ছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। গতকাল আমরা এখানে এসেছি, আজ অপারেশন হবে। এখানকার ডাক্তার ও নার্সরা অনেক ভালো সেবা দিচ্ছেন। নিখরচায় চিকিৎসা পাচ্ছি, এজন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, এ হাসপাতালের যেন আরও উন্নতি হয়। আমাদের মতো এমন গরিব মানুষ ফ্রি চিকিৎসা নিতে পারছে। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডি ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
এসএমএকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।