ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাম ও রুবেলা টিকার উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২

ঢাকা: টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সঙ্গে সংযোজিত হলো হাম ও রুবেলার টিকা।

বুধবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির নতুন এ সংযোজন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।



স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপারিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম আমির হোসেন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মঞ্জুর হোসেন এবং ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে টিকা প্রাপ্তির হার ৮০ শতাংশের ওপরে হলেও সরকার শতভাগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে দূর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ কর্মসূচি পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের আন্তরিকতা ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ফলে দেশের টিকাদান কর্মসূচিতে এ সাফল্য এসেছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী বছরের মধ্যে সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ প্রদান করা হবে।

রুহুল হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) একটি অন্যতম সফল কার্যক্রম এবং এ কার্যক্রমের সুনাম দেশ ও বিদেশে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত। সরকার দেশে শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য  সেবাসহ অন্যান্য মৌলিক চিকিৎসা সেবাসমূহ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সাল থেকে ডিফথেরিয়া, হুপিং কফ, ধনুষ্টংকার, পোলিও মাইলাইটিস, যক্ষ্ণা ও হাম এ ৬টি রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদানের মাধ্যমে উল্লেখিত রোগসমূহ প্রতিরোধকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে ইপিআই কার্যক্রম শুরু হয়। এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা সংযোজনের মাধ্যমে ইপিআই কার্যক্রমের আওতায় টিকার সংখ্যা ৯ এ উন্নীত হলো।

২০১১ সালের ইপিআই কাভারেজ ইভ্যালুয়েশন সার্ভে অনুযায়ী এক বছর বয়সের মধ্যে সঠিকভাবে সবগুলো টিকা প্রাপ্তির হার ৮০.২ শতাংশ যা ১৯৮৪ সালে ছিল মাত্র দুই শতাংশ। পাশাপাশি বিগত ৬ বছর ধরে বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত রয়েছে এবং সেই সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে নবজাতকের ধনুস্টংকার দূরীকরণ অবস্থা বজায় আছে।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ অর্জনে বাংলাদেশ সরকার দেশে হাম রোগ দূরীকরণ এবং কনজেনিটাল রুবেলা ইনফেকশন প্রতিরোধকল্পে ইপিআই কার্যক্রমে এমআর (হাম ও রুবেলা) এবং হামের ২য় ডোজ টিকা সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। শিশুর বয়স নয় মাস পূর্ণ হলে এক ডোজ এম আর (হাম ও রুবেলা) টিকা এবং ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলে হামের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২
এমএন/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।