ঢাকা: বিশ্বব্যাপী নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী এইচএমপিভি ভাইরাসের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ এর এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘মানব মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এর উদীয়মান প্রবণতা: বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন হুমকি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ডা. খালেদ মাহবুব মোর্শেদ মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ও বক্তা ছিলেন ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত ও ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী।
অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, এইচএমপিভি একটি পুরাতন ভাইরাস। এ ভাইরাসের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সর্তক থাকতে হবে। হাত ধোয়া ও মাস্কের ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা ও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে।
উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও সর্তকতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে যেসকল রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরকে বিশেষভাবে সর্তক থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মানব মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক নয়। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে এমন সব রোগীদের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন, ক্যান্সারের রোগীসহ যেসব রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অবশ্যই তাদের ক্ষেত্রে সর্তকতা থাকা জরুরি। ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত বলেন, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস যা সাধারণত মানুষের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি অন্যান্য ফ্লু যেমন-ইনফুলুয়েঞ্জা রেস্পিরেটরি সিনসাইশিয়াল এর মতোই একটি ভাইরাস।
সেমিনারে নবজাতকের বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান জানান, যদি কোনো মা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তবে তার সন্তানের মায়ের বুকের দুধ পান করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৬
আরকেআর/জেএইচ