ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে আর্সেনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৭৫৮ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১২
দেশে আর্সেনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৭৫৮ জন

ঢাকা: দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সর্বশেষ জরিপে ৫৬ হাজার ৭ শত ৫৮ জন আর্সেনিক আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬১টি জেলায় মাটির নিচে পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে।

সাড়ে তিন কোটি থেকে সাত কোটি মানুষ ভবিষ্যতে আর্সেনিক জনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স ভবনের ৫ম তলায় সেমিনার রুমে আর্সেনিক জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যা আরো বেশি। আর্সেনিকে ত্বকে কালো-সাদা দাগ, বৃষ্টির ফোঁটার মতো দাগ, শক্ত আঁচিলের মতো দাগ থেকে শুরু করে ত্বকের ঘা, গ্যাংগ্রিন এবং ত্বকের ক্যান্সার তৈরি হয়ে থাকে। ত্বক ছাড়াও কিডনী, লিভার, পরিপাকতন্ত্র, ফুসফুস, মূত্রথলি, স্নায়ুতন্ত্র, হৃদপিণ্ডে আর্সেনিকজনিত সমস্যা হতে পারে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথম করণীয় হলো, আর্সেনিক দূষণমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা ও পান করা।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত রোগী ও ভবিষ্যতে ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি আর্সেনিক সেন্টার স্থাপন করা জরুরি। দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বহুমুখী চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আর্সেনিক চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হলে ওই কেন্দ্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ও গবেষকরা আর্সেনিক জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গবেষণা ও শিক্ষার সুযোগ পাবেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘‘যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন টিম ওয়ার্ক। আর্সেনিকজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও আমার ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। ’’

তিনি তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  

সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌনব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে  সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ডিজিএইচএস’র অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর অ্যান্ড ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. জাফর উল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ডা. সালামত খন্দকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক, অধ্যাপক ডা. শেখ মোক্তার হোসেন, অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এমদাদুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।