ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পাবনায় নির্মাণ হচ্ছে ৫০ শয্যার কিডনী হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১২
পাবনায় নির্মাণ হচ্ছে ৫০ শয্যার কিডনী হাসপাতাল

ঢাকা: পাবনার বনগ্রামে ৫০ শয্যাবিশিষ্ঠ একটি কিডনী হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এরফলে উত্তরবঙ্গের মানুষ কিডনী রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

এটি নির্মাণে ৮০ শতাংশ টাকা দেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাকি অর্থ দেবে কিডনী ফাউন্ডেশন। এ জন্যে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিডনী ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এ তথ্য দিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে চলবে এ সেবাদান কার্যক্রম। পরামর্শ ও সেবাপ্রদান করা হবে। আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যেই এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

‘আপনার কিডনী সর্ম্পকে জানুন ও কিডনী রোগ প্রতিরোধ করুন’ প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে রোববার মিরপুর কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কিডনী ফাউন্ডেশনের ৮ম জাতীয় সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার’এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন অধ্যাপক হারুনুর রশিদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ সচিব রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস বলেন, কিডনী রোগীদের পাশে আন্তরিকভাবেই দাঁড়াতে চায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সব তরকারির ধনে পাতার মতো। সবকিছুর সঙ্গেই যুক্ত হতে পারে। হেন কোন কাজ নেই যা করে না। সমাজের কল্যাণেই এ মন্ত্রণালয়।

এ মন্ত্রণালয় ছোট হলেও কাজ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে। যেখানে ইউনিয়ন সমাজকর্মী কাজ করেন এবং রাজস্ব  বাজেট থেকেই বেতন পান। তাই এ মন্ত্রণালয়ের বিস্তৃতি অনেক বেশি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়কে এ ধরনের উদ্যেগের জন্যে ধন্যবাদ জানান।

কিডনী রোগ সর্ম্পকে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কিডনী রোগ মৃত্যুর অন্যতম কারন। দেশেও কিডনী রোগে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরন করছেন। দেশের ২ কোটিরও বেশি লোক কোন না কোনভাবে কিডনী রোগে আক্রান্ত।

প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনী সম্পূর্নরুপে বিকল হয়ে যায়। এ রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রথম দিকে এর কোন উপসর্গ থাকে না। যখন উপসর্গ ধরা পড়ে ততক্ষনে কিডনীর প্রায় ৭৫ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। তবে কিডনী সর্ম্পকে ভালভাবে জানলে এবং প্রতিরোধে সচেতনতা অবলম্বন করলে এ ঘাতকব্যাধী অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব।

কিডনী ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শহিদুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, কিডনী রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। এ জন্যে কিডনী রোগ হবার আগেই সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা নিতে হবে। কিডনী সর্ম্পকে জানতে হবে- এবং রোগ প্রতিরোধে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন ছাড়াও প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাটা, অতিরিক্ত লবন পরিত্যাগ, চর্বি জাতীয়-ভেজাল খাদ্য ও ধূমপান বর্জনের পরামর্শ দেন কিডনী বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময় : ১৩১৭ ঘণ্টা; ডিসেম্বর ০২, ২০১২
এমএন/ eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।