ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সার্জারি ছাড়াই স্লিম ফিগার!

সাইদ আরমান ও মাজেদুল নয়ন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
সার্জারি ছাড়াই স্লিম ফিগার!

ঢাকা: এবার আর কাটা-ছেঁড়ার ঝামেলা নেই। নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি।

মাত্র এক থেকে দেড় মাসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চিকিৎসার মাধ্যমে মেদহীন করে তোলা যাবে নিজের দেহকে।
 
মেদ-বিনাশে পৃথিবীর সবচেয়ে হালফিল প্রযুক্তি আই-লাইপো। রাজধানীর পান্থপথের এস্থেটিক স্কিন লেজার সেন্টার নিয়ে এসেছে এ প্রযুক্তি।
 
ড. মতিউর রহমান চৌধুরী ভারতের মুম্বাই থেকে এস্থেটিক ডারমাটোলজির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানে সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডারমাটোলজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটা তৃতীয় প্রজন্মের এক্সেল মেশিন এবং সর্বাধুনিক।
 
তিনি বলেন, এটি লো-লেভেল লেজার থিওরি। এই প্রযুক্তি ইংল্যান্ড থেকে এখানে আনা হয়েছে।
 
মতিউর রহমান জানান, এ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের ঝক্কি ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রয়োজনীয় পরিমানে ফ্যাট বা চর্বি অপসারণ সম্ভব।
 
এ পদ্ধতির সুবিধা সর্ম্পকে তিনি বলেন, এর ফলে প্রাত্যহিক জীবনযাপনে কোন বাধা তৈরি হয় না। কারণ এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
 
তবে সেবাগ্রহণকারী বলামাত্রই তাকে যে এ চিকিৎসা দেওয়া হয় এমন নয়। মতিউর রহমান বলেন, প্রথমে আমরা কনসালট্যান্সি করি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেন তার নিত্য অভ্যাস পরিবর্তন করেন, সে ব্যাপারে তাকে বলা হয়। তা না হলে শারীরিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। এই চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরকে ব্যায়ামের মাধ্যমে এজন্যে তৈরি করে নিতে বলা হয়।
 
সার্জিকাল থেরাপির (অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা) সঙ্গে এই নন-সার্জিকাল থেরাপির(অস্ত্রোপচারহীন চিকিৎসা) পার্থক্য সর্ম্পকে তিনি বলেন, সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসক তার ইচ্ছেমতো নির্দিষ্ট স্থান থেকে ফ্যাট বা চর্বি কেটে নেন। পরবর্তী সময়ে সেবাগ্রহণকারী যদি আবারো দৈনন্দিন জীবনের পূর্বের অভ্যাসগুলোতে ফিরে যান, তবে শরীরে বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোতে আবারও চর্বি জমা হতে থাকে। এর ফলে আবারও শরীরের গঠন ও সৌষ্ঠব নষ্ট হয়ে যায়।
 
ডা. মতিউর আরও বলেন, এ প্রক্রিয়ায় আই-লাইপো মেশিনের সহায়তার সঠিক পরিমাণে (সুষম) থেরাপি দেওয়া হয়। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে ফ্যাট সরানো হয়। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবারো পূর্বের অভ্যাসে ফিরে গেলে, কেবল ওই স্থানেই মেদ জমে, অন্য কোথাও নয়।
 
সাধারণত সপ্তাহে ২ বার করে চার সপ্তাহে আটটি কোর্সের মাধ্যমে এই থেরাপি দেওয়া হয়। তবে প্রয়োজনবোধে বেশি বা কমও হতে পারে।
 
আই-লাইপো এক্সেল মেশিনের মাধ্যমে থেরাপি দেয়ার সময় ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা। এর মধ্যে ২০ মিনিটের লেজার ট্রিটমেন্ট, ১০ থেকে ১৫ মিনিটের লেজার ভ্যাকুয়াম মেসেজ এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ট্রিটমেন্ট।
 
মতিউর রহমান বলেন, এটি আরামদায়ক থেরাপি। এটা সেবাগ্রহণকারীর শরীরে ভাল লাগার অনুভূতির সৃষ্টি তৈরি করে।
 
আই-লাইপো এক্সেল থেরাপি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যেখানে বাড়তি মেদ জমে। এই থেরাপি নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজের দৈনন্দিন কাজ করতে পারেন। সার্জিকাল ট্রিটমেন্টে এটা সম্ভব হয় না।
 
মতিউর রহমান বলেন, এখানে অনেকে দুপুরে লাঞ্চ আওয়ারে অফিস থেকে এসে থেরাপি নিয়ে যান। অনেকে অফিস থেকে ফেরার পথে থেরাপি নিয়ে যান।
 
আই-লাইপো’র একটি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমেই ৩০ শতাংশ মেদ ঝরে যায় বলে ক্লিনিক্যালি প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। এর সঙ্গে দৈনন্দিন অভ্যাসের নিয়মগুলো মেনে চললে দীর্ঘদিন এ থেরাপির সুবিধা ভোগ করা যায়।
 
তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রিটমেন্টের পরেই শরীরের পরিবর্তনটা লক্ষ্য করা যায়। আটটি ট্রিটমেন্টের পর শরীর সুন্দর একটি গঠন পায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৪
সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।