ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেলে চোর-ছিনতাইকারী!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৪
মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেলে চোর-ছিনতাইকারী! বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাতের আঁধারে মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালের ছাত্রী হোস্টেলে ছিনতাইকারী প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
 
রাজধানীর উত্তরার ১নং সেক্টরের ৯নং রোডে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ ফর উইমেনের সঙ্গেই রয়েছে ৬ তলা ছাত্রী হোস্টেল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ হোস্টেলে বাঙালি ছাত্রী ছাড়াও কাশ্মির এবং নেপালের শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রায় ৫০০ ছাত্রী এ হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছেন।  
 
ছাত্রীদের অভিযোগ, শুক্রবার ভোররাত সাড়ে তিনটায় একজন চোর বা ছিনতাইকারী নিচতলা থেকে তিনতলা উঠে ছাত্রীদের রুমে প্রবেশের চেষ্টা করে। দেখতে পেয়ে মেয়েরা চিৎকার করলে অস্ত্রের দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং চুপ থাকতে বলে।  
 
তবে হোস্টেলের শতাধিক মেয়ের চিত্কারে পালাতে বাধ্য হয় অপরাধী। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও কোনো গার্ড বা হোস্টেল সুপারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ মেয়েদের।
 
ছাত্রীদের অভিযোগ, হোস্টেলে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা খুবই দূর্বল। প্রায়ই মাঝরাতে চোর বা ছিনতাইকারী প্রবেশ করে এখানে। মেয়েদের অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখায়।   তবে এসব অভিযোগ গায়ে নিচ্ছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
 
ছাত্রীরা আরো জানান, প্রায় একমাস আগে মধ্যরাতে হোস্টেলের নিচতলায় মেইন গেটের পাশে একজন ছাত্রীর কক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বছরের এক যুবক ছিনতাইকারী প্রবেশ করে। তার উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়েরা চিৎকার করলে অস্ত্র বের করে ভয় দেখায় সে। তবে শেষে ব্যর্থ হয়ে দেয়াল টপকে বেয়ে পালিয়ে যায় । কিন্তু মেইন গেটের পাশে এতো চিত্কারের পরেও কোনো গার্ডের দেখা পাওয়া যায়নি সেদিনও।
 
ছাত্রীদের অভিযোগ, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে অধ্যক্ষ ডা. গুলশান আরা কলেজের সুনাম নষ্ট হওয়ার দোহাই দিয়ে পুরো ঘটনা মেয়েদের হেলুসিনেশন বলে ধামাচাপা দেন।
 
ছাত্রীরা বলেন, এমন অরক্ষিত হোস্টেলে ঘটতে পারে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
 
তবে অভিযোগের ব্যাপারে মুখ খোলেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
 
১৯৯২ সালে উত্তরায় এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।