ঢাকা: ধনী ব্যক্তিরা চিকিৎসাখাতে অনুদান দিলে, তা হবে করমুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মোদ নাসিম।
বুধবার(১৮ ফেব্রুয়ারি’২০১৫) ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২০ বেডের কার্ডিয়াক ওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নাসিম বলেন, রাষ্ট্র বা সরকার কোন ক্ষেত্রে এককভাবে কাজ করতে পারে না। সরকারি ও বেসরকারি যৌথ অংশিদারিত্বে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে অনেক শিল্পপতি রয়েছেন, তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে।
এ খাতে শিল্পপতিরা যে ব্যয় করবেন, তা করমুক্ত হবে।
নতুন হাসপাতাল, একাডেমিক ভবন, হল নির্মাণে ধনী ব্যক্তিরা অনুদান দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে অনুদানকারীদের প্রণোদনা দেয়া হবে।
দেশের বিত্তমান নাগরিকদের স্বাস্থ্যখাতে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিশাল জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় সরকারিভাবে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া কঠিন। এই জন্য স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অর্জন অনেক।
দরিদ্র শিশুদের হৃদরোগের জটিল চিকিৎসা করতে ২০ বেডের শিশু কার্ডিয়াক ওয়ার্ড চালু করেছে শিশু হাসপাতাল। উদ্বোধন করা ২০টি শয্যার মধ্যে ৮টি কার্ডিয়াক সার্জারি ও ১২টি কার্ডিওলজির। এছাড়াও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুঃস্থ গরীব রোগীদের জন্য ১০টি ফ্রি শয্যা রয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাইকা’র দেশিয় প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতেইদা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এবং ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫