ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১৪ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
১৪ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

ঢাকা: বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ১৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে শোকজ (কারন দর্শানো) করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হচ্ছে।


 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (হাসপাতাল) সূত্র জানিয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিচালক (হাসপাতাল) সহ একটি অধিপ্তরের একটি টিম গাজীপুর রাজবাড়ি রোড এবং জয়দেবপুরের বেশ কিছু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগে সেসব হাসপাতালকে প্রথম পর্যায়ে সতর্কীকরণ ও শোধরানোর জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
 
পরিদর্শন দলের একজন সদস্য জানান, এভাবে তৃতীয় সতর্কতার পরেও এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের না শুধরালে ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়া হবে।
 
তিনি জানান, হাসপাতাল শাখা থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে, সেগুলো হচ্ছে- বোর্ড বাজার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত সুলতান জেনারেল হাসপাতাল, কুনিয়ায় অবস্থিত তাইরুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
 
পরিদর্শন দলের ওই সদস্য বলেন- গাজীপুরে রাজবাড়ি রোডের কবির মার্কেট যেন চিকিৎসা ব্যাবসার কোচিং সেন্টারের মতো ভবন। এখানে ২য় তলায় স্থাপিত গাজীপুর ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব, একই ভবনে অবস্থিত কনফিডেন্ট মেডিকেয়ার সেন্টার, ২য় তলায় অবস্থিত কনফিডেন্ট ডেন্টাল কেয়ার, ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত আল নূর ইসলামি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
 
অনিয়ম পাওয়া আরো প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- রাজবাড়ি রোডের সালেহ ভবনের ডিজিটাল এক্স রে। একই রাস্তার কাজী সুপার মার্কেটের রহমান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পৌর সুপার মার্কেটের আধুনিক প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, কাজী মার্কেটের সিটি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মানিক ভবনের কেয়ার অ্যান্ড কিউর হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
 
আইন মেনে না চলা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরো রয়েছে- জয়দেবপুরের গ্রীন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জয়দেবপুরের শিববাড়ি মোড়ের আরজদা ভবনের হলি ল্যাব মেডিকেল সেন্টার লিমিটেড এবং একই ভবনের সন্ধানী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা.  স্বপন কুমার তপাদার রোববার বাংলানিউজকে বলেন, এসব হাসপাতালের প্রায় একটিতেও সরকার স্বীকৃত আইএসটি থেকে সার্টিফায়েড প্যাথলজিস্ট নেই। বেশিরভাগই হয় ভোকেশনাল না হয় কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
 
হাসপাতালগুলোতে ডিপ্লোমাধারী নার্সেরও উপস্থিতি নেই। বেশিরভাগই কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়েই নিয়োগ পেয়েছেন। আবার অনেক হাসপাতালে পার্ট টাইম নার্স দিয়ে কাজ চলছে।
 
এছাড়াও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে।
 
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন অমান্য করায় এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
 
বাংলাদেশ সময় ১৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।