ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৫

মায়ের দুধ পানের হার কমেছে ১০ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
মায়ের দুধ পানের হার কমেছে ১০ শতাংশ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক

ঢাকা: দেশে মায়ের দুধ পানের হার প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। ২০১১ সালে এ হার ছিল ৬৪ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে এসে মাত্র ৫৫ শতাংশে ঠেকেছে।

 

বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৬ মাস বয়সী শিশুদের শুধুমাত্র মায়ের দুধ পানের হার ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০১১ সালে ৬৪ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে সেটি ৫৫ শতাংশে পৌঁছায়।

‘ওয়ার্ল্ড ব্রেস্ট ফিডিং ট্রেন্ড ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) পলিসি ও প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের উন্নতি দেখা গেছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বর্তমানে ভালো অবস্থানে (নীল রঙ) আছে,’ যোগ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২ আগস্ট মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) এবং সহযোগী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. এস কে রায়।

এছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দীন মো. ন‍ূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, জাতীয় পুষ্টি সেবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও লাইন ডিরেক্টর (পরিচালক) ডা. মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

ডা. জাহিদ মালিক আরও জানান, কর্মক্ষেত্রসহ সর্বত্র মায়েরা যাতে তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে পারেন সে বিষয়ে গুরুত্ব ও এ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়নে জোরদার করা মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
 
এবার প্রতিপাদ্যের সঙ্গে ৭টি বিষয়কে অন্তর্ভ‍ুক্তির কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।

এগুলো হল- সুযোগ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা বা নগদ সহায়তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চাকরির সুরক্ষা ও বৈষম্যহীনতা, মাতৃদুগ্ধ দানের বিরতি এবং দুগ্ধদানের সুব্যবস্থা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
এসকেএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।