ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব

গাইবান্ধায় শতাধিক রোগী হাসপ‍াতালে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
গাইবান্ধায় শতাধিক রোগী হাসপ‍াতালে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা।



বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০০ জন রোগী গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তাদের শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে, সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগের সজ্জা সংখ্যা ২০টি। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ৫ গুণ বেশি হওয়ায় তাদের হাসপাতালের মেঝে ও সিঁড়ির গোড়ায় বিছানা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে বন্যা উপদ্রুত এলাকা ছাড়াও গাইবান্ধা শহরের বন্যা উপদ্রুত নয় এমন পাড়া মহল্লার রোগীও রয়েছেন।

হঠাৎ করে কি কারণে এত বেশি সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এস আই এম শাহিন বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানতে সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে।

গাইবান্ধা শহরের মহুরি পাড়ার দুলালী বেগম জানান, বুধবার রাতের খাবার শেষে তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন।

অন্যদিকে সদর উপজেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকার ঘাঘোয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের ভুট্টু মিয়া ও মনোহরপুর ইউনিয়নের জালাল মিয়া জানান, তারা কি কারণে আক্রান্ত হয়েছেন তা বুঝতে পারছেন না।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ডায়রিয়া সংক্রমণের তীব্রতা বেশি। বর্তমানে রোগীদের ১ হাজার বা ২ হাজার সি সি স্যালাইনে কাজ হচ্ছে না। রোগী ভেদে ১০ থেকে ২০ হাজার সিসি স্যালাইন দিতে হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ওষুধ বা স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। গাইবান্ধা পৌরসভার পক্ষ থেকেও হাসপাতালে ৩শ’ স্যালাইন সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
আরএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।