ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জয়পুরহাটে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
জয়পুরহাটে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা   মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাধীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই রোগী। ছবি: বাংলানিউজ

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক রোগী। 

গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের আট শয্যার ওয়ার্ডে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ৭০ জন রোগী। স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাদের চিকিৎসা চলছে ওয়ার্ডের মেঝে ও হাসপাতাল করিডোরে।

রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ থেকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা আধুনিক হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছেন ৬০ জনেরও বেশি। এদের মধ্যে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার পর অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।  

গ্রামের পাশাপাশি জয়পুরহাট পৌরসভা এলাকা থেকেও ডায়রিয়া আক্রান্ত অনেক রোগী আসছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। গরম আবহাওয়ার কারণে পানিবাহিত এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে ধারণা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে আট শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মেঝে ও দু’পাশের করিডোরের মেঝেতে শুয়ে আছেন অনেক রোগী। প্রত্যেকের মাথার ওপর স্যালাইন ঝুলছে।  

এ সময় কথা হয় জয়পুরহাট পৌরসভার নতুন হাট মহল্লার বাসিন্দা নূরজাহানের সঙ্গে।  তিনি জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণেই তার ডায়রিয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ জুলাই) রাতে ভর্তি হলেও ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাত থেকেই স্যালাইন চলছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রাম থেকে ছয় বছরের শিশু রাব্বুকে নিয়ে তার মা শুক্রবার (১৩ জুলাই) রাতে এসেছেন হাসপাতালে। রাব্বুকে মুখে স্যালাইন খাওয়ানো হচ্ছে রাত থেকেই। রাব্বুর বাবা লাল মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তার ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়।  

একই এলাকার মাজেদা বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি সুস্থ না হতেই মেয়ে আয়েশা আক্রান্ত হওয়ায় শনিবার তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তা তারা বলতে পারেননি। তবে তাদের ধারণা কয়েকদিন থেকে প্রচণ্ড গরমের কারণেই তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ লায়লা আরজুমান্দ বানু বাংলানিউজকে জানান, তাদের ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র আটটি। অথচ গত সাত দিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ জনেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

হাসপাতালের শিশু ডাক্তার সামছুজ্জোহা বাংলানিউজকে বলেন, গত সাত দিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। পুরো ওয়ার্ড জুড়ে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। গরম আবহাওয়ার কারণেই অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া পানির সমস্যা থেকেও এ রোগ ছড়াতে পারে বলে তার ধারণা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।