তিনি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রতি বিভাগে ক্যান্সার চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি, সংসার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন করে ফেলে। দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার সহজলভ্যতা বিভাগ পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারলে সারাদেশের লাখ লাখ মানুষ কম খরচে এ সেবা পাবে।
জনসাধারণের জীবনাচারণ ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে সচেতনতা বাড়াতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা কামনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। ভেজালযুক্ত, কৃত্রিম রং মেশানো খাবার পরিহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মানুষের মধ্যে কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাসও বাড়াতে হবে। ক্যান্সারসহ অনেক অসংক্রামক রোগের কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী হাসপাতালের লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট, অত্যাধুনিক এম আর আই, সিটি স্ক্যান মেশিন এবং ডে কেয়ার কেমোথেরাপির কিউ ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমএএম/টিএম/আরবি/