ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বায়ুদূষণের কারণে হতে পারে ফুসফুসে ক্যানসার

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
বায়ুদূষণের কারণে হতে পারে ফুসফুসে ক্যানসার ধুলার মধ্যেই চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। বায়ুদূষণের প্রধান কারণ যত্রতত্র নিয়ম না মেনে বাড়িঘর তৈরি করা। কলকারখানার অতিরিক্ত ধোঁয়াসহ নানা কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম। 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বায়ুদূষণের বিষয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, বায়ুদূষণে মানুষের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

বাতাসের দূষিত পদার্থ মানুষের শ্বাসনালীতে আঘাত করে। এতে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অ্যাজমা দ্রুত বেড়ে যাওয়াসহ ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণ আমাদের দেশে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর কারণ যত্রতত্র বাড়ি ও কলকারখানা নির্মাণ। কালকারখানার অতিরিক্ত ধোঁয়া নির্গত হওয়া ও ময়লা-আবর্জনা জমিয়ে রাখা এবং রাস্তাঘাট সংস্কারের সময় পরিষ্কার না করে সেখানেই ময়লা জমিয়ে রাখায় বায়ু দূষণ হয়ে থাকে। একার পক্ষে বায়ুদূষণ মোকাবিলা কোনো মতেই সম্ভব নয়। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
ধুলার মধ্যেই চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।  ছবি: ডি এইচ বাদলঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কালাম আজাদ বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে থুথু ও প্রসাব করা যাবে না। হাসপাতালের বর্জ্য নিয়ম অনুযায়ী ধ্বংস করতে হবে। যেসব ময়লা থেকে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ছড়ায় সেগুলো জড়ো করে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিকল্পিত নগরায়ন গড়ে তুলতে হবে। এতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা থাকতে হবে। তাহলে বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। এর পাশাপাশি তিনি সবারকে মাস্ক পড়ে চলাচল করার পরামর্শ দেন।
ধুলার মধ্যেই চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।  ছবি: ডি এইচ বাদলমিরপুরের বাসিন্দা শফিউল ইসলাম আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন বাসে করে তাকে অফিসে যেতে হয়। ধোঁয়ায় বায়ুদূষণের কারণে মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে যাই। বায়ুদূষণে কখনও কখনও হাঁচি-কাশি ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়ে চোখ লাল হয়।

মিরপুরের অপর বাসিন্দা সরকারি কর্মচারী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বন, রাস্তাঘাটে প্রতিদিন বায়ুদূষণের মধ্যে পড়তে হয়। বায়ুদূষণের কারণে এখন কি ক্ষতি হচ্ছে হয়তো বা বুঝতে পারছি না। ধীরে ধীরে হয়তো শারীরিক ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য প্রতিকার করা দরকার। সরকার দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে সবার সহযোগিতায় বায়ুদূষণ রোধ করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।