সরেজমিনে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী নির্ধারিত বেড ছাড়াও মেঝে ও করিডোরে শুয়ে বসে রয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা থেকে আবু মুসা নামে এক ব্যক্তি তার ভাগ্নেকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি হওয়ার পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে।
জয়পুরহাট সদরের ধলাহার গ্রাম থেকে আসা আয়েশা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে দু’দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে হাসপাতালে তারা এসেছেন। এখানেই তিনদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড ইনচার্জ নাসিমা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে মাত্র ৮ শয্যার একটি ডায়রিয়া ওয়ার্ড থাকায় প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন রোগীর স্থান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সঙ্গে জনবল কম এবং রোগী বেশি হওয়ায় দায়িত্বরত নার্সদের অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শীতের শেষে গরম আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে একটু সতর্কতার সঙ্গে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এনটি