ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে ৩ শতাংশ মানুষ চোখের গ্লুকোমা রোগে ভুগছেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
দেশে ৩ শতাংশ মানুষ চোখের গ্লুকোমা রোগে ভুগছেন গ্লুকোমা রোগে

ঢাকা: বিশ্বে প্রায় ৮ কোটি মানুষ চোখের গ্লুকোমা জনিত রোগ অন্ধত্বে ভুগছেন। যার একটি বড় অংশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে পয়ত্রিশ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে শতকরা ৩ ভাগ মানুষ রোগটির শিকার।

নীরব অন্ধত্বের বড় কারণ রোগটির প্রতিকার না থাকায় প্রতিরোধই একমাত্র উপায় বলে জানিয়েছেন চক্ষু রোগ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে বিশ্ব গ্লুকোমা সচেতনতা সপ্তাহের শেষদিনে বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির উদ্যোগে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সভায় চক্ষু রোগ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তের চাপের মতো চোখেরও একটি নির্দিষ্ট চাপ থাকে। কোনো কারণে এই চাপ বৃদ্ধি পেলে চোখের অপটিক নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ধীরে ধীরে নার্ভটি শুকিয়ে যায়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা কমতে থাকে। এক পর্যায়ে চোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে।
তারা বলেন, সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো শিশু থেকে বয়স্ক যে কারোরই চোখে গ্লুকোমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া পরিবারের কারো রোগটির ইতিহাস থাকা, চোখে আঘাত পাওয়া ও ডায়াবেটিসের কারণেও এটি হতে পারে।

একবার দৃষ্টিশক্তি কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু ৯০ শতাংশ রোগী যেটি বুঝতে পারে না। এটি নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায়।
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, সময়মতো গ্লুকোমার চিকিৎসা না করায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে।  

সংগঠনের মহাসচিব ডা. সালমা পারভীন বলেন, স্থায়ী অন্ধত্বের বড় কারণ গ্লুকোমা সমস্যা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা নিতে পারলে এটি অনেকটাই প্রতিরোধ সম্ভব।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হাসান সহিদ, সোসাইটির কার্য-নির্বাহী সদস্য ও আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহিদ, সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. শেখ এমএমএ মান্নাফ, অধ্যাপক  ডা. এম নজরুল ইসলাম ও অভিনেতা জাহিদ হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
পিএস/এসএমএকে
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।