ঢাকা: ‘সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধি বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘বাংলাদেশ আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’ (বেন) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় ইসিডি সম্মেলনের প্রথম দিনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসিডি নেটওয়ার্কের সভাপতি ড. মঞ্জুর আহমেদ। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমো হোজোমি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
কি-নোট উপস্থাপন করেন সৈয়দা সাজিয়া জামান।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধ এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এসব স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, পিস ট্রি, দুই বার সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও ভ্যাক্সিন হিরো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।
ইন্দিরা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী মায়ের জন্য ল্যাক্টেটিং মা ভাতা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের ১৫টি মন্ত্রণালয় ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের বই প্রদান ও এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এসবই শিশুদের জন্য বিনিয়োগ। শিশু বিকাশকেন্দ্রের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষায়িত কার্যক্রম নিয়েছে সরকার।
অপুষ্টির কারণে শিশুদের উচ্চতা ও ওজন কম হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, এর ফলে শিশুদের স্কুলে যেতে লেখাপড়া শিখতে দেরি হয়। যথাযথভাবে ইসিডি পলিসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসিডি সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ইসিডি শিশুদের জন্য বিনিয়োগ। এর সুফল দেশ জাতি অনেকগুণ হারে ফেরত পাবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমো হোজোমি বলেন, বাংলাদেশ মা ও শিশু মৃত্যুরোধে অনেক অগ্রগতি করেছে।
দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষা বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ছয়টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সরকারি, জাতিসংঘ, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
জিসিজি/এএটি