ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শৃঙ্খলা ফিরেছে শেবাচিম হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২১
শৃঙ্খলা ফিরেছে শেবাচিম হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণে

বরিশাল: কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। ইতোমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ রোগীরা।

পাশাপাশি রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে অক্সিজেন সংকটের নামে যে অস্বস্তি বিরাজ করছিলো তারও নিরসন ঘটেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে, তাতে কিছুটা পরিবর্তন আনায় সুফলটা পাওয়া যাচ্ছে।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীর স্বজনরা অক্সিজেন সংকটের কথা বলে আসছেন। তাছাড়া গত ১৭ জুলাই ও ৩ আগস্ট দুই রোগীর মৃত্যুর পর তাদের স্বজনরাও অক্সিজেন সংকটের কথা জোরালোভাবে গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। এসব অভিযোগের পরই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, করোনা ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের ৬১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। তারপরও রোগীরা অভিযোগ করছিলেন সিলিন্ডার না পাওয়ার। এ অবস্থায় ৫ সদস্যের অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। তাদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার না পাওয়ার অভিযোগ তুলানামূলক কমে এসেছে।

তিনি আরও জানান, গঠিত কমিটি আগের পদ্ধতি বাদ দিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরাসরি রোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। বর্তমানে সিলিন্ডারবাহী গাড়ি করোনা ওয়ার্ডের সামনে পৌঁছার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সেগুলো করোনা ওয়ার্ডের প্রতিটি ফ্লোরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনরা গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদার কথা জানায়। এরপর সংশ্লিষ্ট ফ্লোরের দায়িত্বরত নার্স ওই রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা তদারকি করেন এবং প্রয়োজন হলে কেবল তাদেরই অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করছেন।

জানা যায়, এর আগে যে পদ্ধতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হতো, সেখানে স্বজনরা নিজেরাই গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডার তুলে নিয়ে যেতো। অনেক রোগীর প্রভাবশালী স্বজনরা অপতৎপরতা চালাতো। একজন রোগীর জন্য একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মজুদ করে রাখা হতো।

উল্লেখ্য, বর্তমানে হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে ৩০০-র ওপরে রোগী থাকছেন। এরমধ্যে প্রায় ৩০ জন রোগী আইসিইউ সেবা পাচ্ছেন। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সেবা পাচ্ছেন ৬৯ জন রোগী। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা পাচ্ছেন ১০৭ জন রোগী। বাকি রোগীদের সিলিন্ডার অক্সিজেন সেবা প্রয়োজন রয়েছে।  

 বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২১
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।