ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ

অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার ব্যস্ত ক্লিনিকে, হচ্ছে না অস্ত্রোপচার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার ব্যস্ত ক্লিনিকে, হচ্ছে না অস্ত্রোপচার

সাতক্ষীরা: অস্ত্রপচারের জন্য প্রস্তুত অপারেশন থিয়েটার, সিরিয়ালে আছেন রোগীরা, প্রস্তুত ডাক্তারও। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে জানানো হয় অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার না আসায় অস্ত্রোপচার এদিন সম্ভব হচ্ছে না।

পরবর্তী কোনো দিন আসতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের এই দৃশ্য একদিনের নয়। প্রতিদিনই রোগীদের এভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের অশোকা নামে এক ব্যক্তিকে মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট থেকে রেফার করা হয় অস্ত্রপচারের জন্য। সকালে তাকে এ জন্য ওটিতে নেওয়া হয়। অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার. রণজিৎ মণ্ডল ও সার্জারি বিভাগের ডাক্তার. জেরিনের তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও সকাল গড়িয়ে বিকেলে রোগীর স্বজনদের জানানো হয় অজ্ঞান করার ডাক্তার আসেননি। এখানে থাকলে আপনাদের রোগী বাঁচবে কিনা বলা যাচ্ছে না। আপনারা অন্য হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাবেন নাকি পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন? তখন রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে শহরের সিবি হাসপাতালে নিয়ে রাতেই অস্ত্রোপচার করানো হয়।

অপরদিকে, গত ২৮ মার্চ অস্ত্রপচারের কথা ছিল শহরের বাঁকাল এলাকার ১৪-১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের। হাঁটুর উপর থেকে ভেঙে যাওয়ার কারণে তাকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। সকালে তাকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হলেও কিছুক্ষণ পর জানানো হয় অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার নেই, ওইদিন অস্ত্রোপচার নাও হতে পারে। এক পর্যায়ে ফের কেবিনে পাঠানো হয় রোগীকে। তার অস্ত্রোপচারের দিন নির্ধারণ করা হয় এক সপ্তাহ পরে। অন্যথায় বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করানোর কথা জানানো হয় পরিবারকে।

হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে কল দিলে ডাক্তাররা সেখানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আবার একটা অস্ত্রোপচার সরকারি হাসপাতালে না করিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকে নিতে পারলে লাভের অংশ অনেক বেশি দেওয়া হয় তাদের।

গত ১৩ এপ্রিল অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তারের অনুপস্থিতির কারণে অস্ত্রোপচার করতে না পারা ডাক্তার জেরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তবে, অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার রণজিৎ মণ্ডল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার না করে এ বিষয়ে সার্জারির বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

তখন সার্জারির বিভাগীয় প্রধান শরিফুল ইসলাম সব ঘটনা শুনে নিজের অপারগতা প্রকাশ করে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এরপর এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরত-ই-খোদার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।