ঢাকা: বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের প্রথম কোভিভ-১৯ শনাক্তকরণ কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। ‘বিসিএসআইআর কোভিড’ কিট নামে এ কিটটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য সহজ ও দশগুণ সাশ্রয়ী পদ্ধতি হবে দাবি করা হচ্ছে।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে বিসিএসআইআর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ বাংলাদেশের প্রথম কিট উদ্ভাবনের এ ঘোষণা দেন।
অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখের নেতৃত্বে বিসিএসআইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ কিট উদ্ভাবন করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকাতরে টাকা দেন। বিজ্ঞানীদের গবেষণায়ও প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন ও ল্যাব প্রতিষ্ঠা করছে সর্বোচ্চ মানের।
অধ্যাপক ড. শরফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরাও পারি, বাঙালি পারে। বাঙালির মেধা ভিন্ন দেশে আগে কাজ করতো, এখন থেকে নিজ দেশেও বাঙালিরা অনুপ্রেরণা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণটাই আমদানি করতে হয়, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। এছাড়া করোনাভাইরাস ঘন ঘন তার জিনগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক কিটগুলোর শনাক্তকরণে সেনসিটিভি ও স্পেসিফিকেশনে হ্রাস পাচ্ছে, যা অনেক ক্ষেত্রে ভুল ফলাফল দিতে পারে। সার্স কোভ-২ (SARS-CoV-2) শনাক্তকরণে কিউআরটি-পিসিআর (qRT-PCR) টেস্টকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। বর্তমানে যে কিউআরটি-পিসিআর কিট ব্যবহৃত হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ, প্রতিটি পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কিন্তু বিসিএসআইআর উদ্ভাবিত এই কিটে মাত্র ২৫০ টাকা খরচ হবে। ফলে বিপুল আমদানি খরচ থেকে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল হাসান, অধ্যাপক ড. শরফুদ্দীন আহমেদ ও বিসিএসআইআরের প্রধান বিজ্ঞানী সেলিম খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫, আগষ্ট ০৭, ২০২২
এনবি/এসএ