কলকাতা: ভারতে পা রেখেই জরিমানা দিতে হলো বহু বাংলাদেশিকে। কারণ প্রকাশ্যে ধূমপান করেছেন তারা।
শনিবার (২৭ মে) পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান বিরোধী অভিযান চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। আর সে কথা জানা ছিল না বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের।
দীর্ঘ যাত্রার পর প্রকাশ্যে ধূমপান করেন তারা। আর সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি হিসেবে জরিমানাও গুনেন। পাশাপাশি অসচেতন স্থানীয় ধূমপায়ীরাও ধূমপান করে জরিমানা দেন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন বনগাঁর সচেতন বাসিন্দারা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি ধূমপানবিরোধী অভিযান চালানো হয় বনগাঁ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত অবধি। সেখানে প্রকাশ্যে ধূমপায়ীদের জরিমানা করা হয়। ছাড় পায়নি সীমান্ত পার হওয়া বাংলাদেশিরাও। জরিমানা গুনতে হয়েছে মাথাপিছু ৫০ রুপি। ধূমপায়ীদের হাতে রসিদ দিয়ে কেন ধূমপান করবেন না তা বুঝিয়ে বলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।
প্রকাশ্যে ধূমপান করায় জরিমানা হয় বাংলাদেশি যশোরের বাসিন্দা মো; নুর ইসলাম। তিনি বলেন, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এটি ভালো সিদ্ধান্ত। তবে এরকম অভিযানে মাইকিং করা বা ব্যানার দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে লোকে প্রকাশ্যে ধূমপান করবে না। আমি যেমন বাংলাদেশের নাগরিক। একজন পাসপোর্ট যাত্রী। আমার কাছে জানা ছিল না বিষয়টা। জানা থাকলে অবশ্যই প্রকাশ্যে ধূমপান করতাম না। হঠাৎ করে ফাইন করেন ওনারা। এরপরই তার অভিমত, আমারও প্রকাশ্যে উচিত হয়নি ধূমপান করা। তাই আমাকে জরিমানা দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা কোনো প্রতিক্রিয়া না দিলেও পেট্রাপোল বন্দরে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেছেন, এটি সরকারের ভালো উদ্যোগ। সারপ্রাইজ ভিজিট সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই হচ্ছে। পেট্রাপোল সীমান্তে দুই বাংলার বহু মানুষের সমাগম ঘটে। প্রকাশ্যে ধূমপানে পাশের মানুষটার কতটা সমস্যা হয় একথা ধূমপায়ীরা বোঝেন না। এখন ধারাবাহিকভাবে এ অঞ্চলে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ