ভারত ও বাংলাদেশে আলোচিত ঘটনা ঝিনাইদহ ৪ -আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশ তল্লাশিতে যুক্ত হতে চলেছে ভারতীয় নৌ বাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী।
পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি) সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খালের নোংরা পানি থেকে এমপি আনারের দেহের হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করতেই ভারতীয় নৌ বাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, আনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করতে গিয়ে গত ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গে গোয়েন্দাদের হাতে বনগাঁ থেকে ধরা পড়েন ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আনারের দেহের হাড় এবং মাথার অংশ টুকরো টুকরো করে নিউটাউনের ভাঙড় এলাকার পোলেরহাট থানাধীন কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে ফেলা হয়েছে।
সেখানে গত সাতদিন ধরে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। খালের পানি নোংরা, ঘোলা এবং মাটি ভর্তি। উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ওই হাড় বা মাথার খুলির অংশ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন সিআইডির কর্তারা।
সে কারণে সিআইডি, ভারতীয় নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছে। সিআইডি মনে করছে তাদের উন্নত প্রযুক্তি এবং ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালালে এমপির দেহাংশ উদ্ধার করা যেতে পারে। এটা ধরে নিয়েই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিআইডির সদর দপ্তর ভবানীভবনে। তবে এ বিষয়ে নৌবাহিনী কোনো সবুজ সংকেত দেবে কিনা তা এখন স্পষ্ট হয়নি।
ইতোমধ্যে নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন সঞ্জিভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসপিণ্ড এমপি আনারের কি না, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মাংসপিণ্ড উদ্ধার হলেও আনারের দেহের হাড় কিংবা মাথার অংশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি সিআইডি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই ফরেন্সিক রিপোর্ট আসবে। তা পজিটিভ হলে সংসদ সদস্যের মেয়ে কিংবা এবং তার ভাইকে ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের জন্য ডাকা হবে। প্রায় একইসঙ্গে হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করা গেলে তদন্তের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে মনে করছে সিআইডি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
ভিএস/এসএএইচ