হিলি-গাজোল ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কয়েক হাজার লরি একদিকে যেমন পণ্য নিয়ে আটকে আছে, তেমনি যান চলাচল শুরু না হওয়ায় খালি লরিগুলোও ফিরে যেতে পারছে না। ফলে সংশ্লিষ্ট লরিগুলোর চালক ও খালাসিরা দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন।
হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অশোক আগরওয়াল বলেন, ‘জাতীয় সড়কে এখনও একাধিক সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ভিনরাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী লরিগুলো বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছে। অন্যদিকে খালি ট্রাকগুলো কিছু কিছু ছাড়া হচ্ছে। বাংলাদেশের একাধিক জেলা এখনও পানিমগ্ন রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি বাংলাদেশেও একাধিক ব্রিজ ও রাস্তা বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। ফলে স্থল বাণিজ্য চালু থাকলেও পণ্য আদান প্রদান হচ্ছে না। খুব জরুরি কিছু পণ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। ফলে খুবই কম সংখ্যক পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করছে।
এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে দিনে ৩ শ’র উপর পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে ১৩ আগস্ট থেকে হিলি-গাজোল ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক স্থান পানির নিচে চলে যায়। সেইসঙ্গে গঙ্গারামপুরের মহারাজপুরে সেতুর অবস্থা বেহাল হয়ে যাওয়ায় ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পশ্চিবঙ্গ ছাড়াও ভিনরাজ্য থেকে আসা কয়েক হাজার পণ্যবাহী লরি আটকে পড়ে আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের হিলির পানামা বন্দরসহ আশপাশের এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। একাধিক এলাকায় ব্রিজ ও রাস্তা ভেঙে গিয়ে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য সরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া না হলেও কার্যত বন্ধই বলা যায়। লরিগুলো দিনের পর দিন আটকে থাকায় পিয়াজ, ফলমূলসহ একাধিক কাঁচামাল পচতে শুরু করেছে।
হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ২০ কোটি রুপির পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ফলে ঈদের মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্বেযাগের কারণে ব্যবসায়ীদের কপাল পুড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
ভিএস/জেডএম