চলতি বছর নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই পাহাড়ের তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। রাতে তা ৩ ডিগ্রিতেও নেমে যাচ্ছে।
দিনভর সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে আরও জবুথবু অবস্থা পাহাড়বাসীর। ঘুমে বৃষ্টিও হচ্ছে।
সমতল থেকে ৭ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় টাইগার হিলসে শনিবার (১৭ নভেম্বর) তাপমাত্রা ছিলো ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টাইগার হিলস ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার সেলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই ঠান্ডায় টাইগার হিলে বরফ পড়ার সম্ভাবনা আছে। পাহাড়ে বরফের আশায় বাড়ছে পর্যটকও। পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট দার্জিলিয়ের মেল রোড এলাকা। পর্যটক বাড়ছে সান্দাকফু রুটেও।
শুধু ঠান্ডাতেই রক্ষা নেই। সঙ্গে পাহাড়জুড়ে পড়তে শুরু করেছে ঘন কুয়াশাও। দার্জিলিংয়ের একটি কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ুয়া কলকাতার ছাত্রী অন্তরা বিশ্বাস বলেন, ঠান্ডার কারণে রাতে লিখতেও অসুবিধা হচ্ছে। হাত নড়ছে না। ডিসেম্বরে ফার্স্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা। কীভাবে যে সিলেবাস শেষ করবো বুঝতে পারছি না।
দার্জিলিংয়ের ঘুম এখন সবচেয়ে ঠান্ডাপ্রবণ এলাকা। এই ঠান্ডার জন্য সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা গরম পানির বোতল সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জানা গেছে, ঠান্ডা ও কুয়াশার জন্য বিকেলের পর গাড়ি চালানোও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
পশ্চিমী বাতাসের কারণে পাহাড়ে দুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। সিকিমের উপরিভাগে বরফ পড়েছে। তুষারপাত হয়েছে পূর্ব সিকিমের নাথুলা ও ছাঙ্গুতেও।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রোববার (১৮ নভেম্বর) ওই পথে পর্যটকদের গাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। দিনভর আকাশ মেঘলা, সঙ্গে হালকা হাওয়া। দিনভর রোদের দেখা মেলেনি। সমতলে অর্থাৎ শিলিগুড়িতেও দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমতলে এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ছে না। পশ্চিমা বাতাস কেটে গেলে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাপমাত্রা আবার বাড়বে। এর প্রভাবে সিকিমে বৃষ্টিও হচ্ছে।
ছাঙ্গু, নাথুলা, লাচুং, লাচেনে হালকা তুষারপাত হয়েছে। এর প্রভাবে সমতলে অনুভূত হচ্ছে শীত। তবে এখনই প্রবল শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
ভিএস/এমএ