এদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার পর উত্তর কলকাতার সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন মমতা। মিছিলে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এর আগে গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআরসি ইস্যুতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং-মিছিল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজপথে নামলেন স্বয়ং মমতাই।
গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসে পশ্চিমবাংলায় এনআরসি চালু করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অমিত শাহ। দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ই নন, বিজেপির ছোটবড় নেতা-মন্ত্রীরাও এনআরসি চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন।
তবে এ রাজ্যে এনআরসি কোনোভাবেই চালু করতে দেওয়া হবে না বলে বরাবরের মতো এদিনও হুঁশিয়ারি শোনা গেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, যে হিন্দুত্ববাদকে সামনে রেখে বিজেপির রাজনৈতিক উত্থান; সেই বিজেপির ক্ষমতাকালীন তৈরি করা আসামের এনআরসি তালিকা থেকে ১২ লাখেরও বেশি হিন্দুর নাম কী করে বাদ পড়লো?
এনআরসি বিরোধিতায় এরাজ্যে মমতা পাশে পেয়েছেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস দলের নেতাকর্মীদেরও। সম্প্রতি বিধানসভায় এনআরসি বিরোধিতায় যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তাতে খোলাখুলি সমর্থন দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। বিজেপি অবশ্য ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেছিল।
এরকম একটা রাজনৈতিক আবর্তের মধ্যে এনআরসি ইস্যুতে মমতার এদিনের মিছিল যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এদিনের মিছিলে শুধু এনআরসি নয়, দেশের অর্থনৈতিক মন্দা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মমতার সুরে সুর মিলিয়েছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
অন্যদিকে দুর্গাপূজার আগে বৃষ্টির মধ্যেও মমতার রাজনৈতিক মিছিলটি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি বলে মনে করছেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন মহল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ভিএস/এসএ