জানা যায়, ইতোমধ্যে রাজ্যের শ্রমিকদের একত্রিত করে বাসে জম্মুতে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে শ্রীনগরে নিয়ে ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গে আনা হবে তাদের।
নিরাপদে শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে এখন জম্মুতে অবস্থান করছেন রাজ্য সরকার প্রশাসনের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার সম্পূর্ণ বিষয়টির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।
এর আগে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগ্রামে পাঁচজন বাঙালি শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তারপরই সেখানে কর্মরত অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কাশ্মীরে কর্মরত বেশিরভাগ শ্রমিকেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গে। সন্ত্রাসী হামলার পর দ্রুত কাশ্মীর ছাড়তে চাইছেন সবাই।
পাঁচজন শ্রমিকের হত্যাকাণ্ডের আগে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন পাঞ্জাবের এক আপেল ব্যবসায়ী ও দুই ট্রাকচালক। তারা এখনও কাশ্মীরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকদের উপর হামলার জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কাশ্মীরের আপেল ব্যবসায়ীরা। পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুতে ইতোমধ্যে কলকাতার রাজনৈতিক দলগুলোসহ অন্যান্য অরাজনৈতিক সংগঠনও নিন্দা জানিয়েছে।
এ নিয়ে ভাষা ও চেতনা সমিতি সম্পাদক ইমানুল হক বলেন, কাশ্মীরে যে পাঁচজন শ্রমিককে মেরে ফেলা হয়েছে তাদের জাতিসত্ত্বা তারা বাঙালি। কাশ্মীরে ৮০ লাখ মানুষ ও ১০ লাখ ভারতীয় সৈন্য আছে। যার অর্থ প্রতি ৮ জন পিছু একজন সৈন্য। তাহলে কি করে মারা যাচ্ছে ভিন রাজ্যের মানুষ। আমরা এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।
‘একই সঙ্গে আমরা তদন্ত চাই পুলওয়ামাকাণ্ডে সেনা নিহতের ঘটনার। ৪২ জন সেনা মারা গেলেন, অথচ তার কোনো তদন্ত এখনও সেভাবে হয়নি। আমরা চাই ওই শহীদদের প্রতি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হোক। ’
তিনি বলেন, জওয়ানদের মতোই দেশের জন্য কৃষক-শ্রমিক সবার অবদান আছে। তাই নিহত শ্রমিকদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও জীবিকার দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ০২ নভেম্বর, ২০১৯
ভিএস/এবি/এমএ