কলকাতা: ভারতে ১৫ অক্টোবরের পর ধাপে ধাপে স্কুল ও কোচিং সেন্টারগুলো খুলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে স্কুল খোলার আগে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আরো একবার আলোচনা সেরে নিতে চায় কেন্দ্র।
সোমবার (৫ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপির) উপর ভিত্তি করে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নিজেদের এসওপি তৈরি করতে হবে। স্থানীয় পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে এসওপি গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
নির্দেশিকায় প্রথমেই বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে উৎসাহ দেওয়াই শ্রেয়। তবে স্কুলগুলো খুললেও এখনই কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক অভিভাবকদের লিখিত অনুমতি থাকলে তবেই স্কুলে খোলা যেতে পারে। কড়াকড়ি করা যাবে না শিক্ষার্থীদেরে উপস্থিতির ক্ষেত্রে। সে বিষয়ে শিথিলতা রাখতে হবে।
স্কুলে প্রবেশপথে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে দেহের তাপমাত্রা মাপতে হবে। সম্ভব হলে স্কুলে প্রবেশ ও বেরনোর জন্য আলাদা গেটের বন্দোবস্ত করতে হবে। স্কুলের সামনে অভিবাবকদের ভিড় করা যাবে না। শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বদা মাস্ক পরে থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক যাতে থাকে তা নজর রাখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। টিফিন টাইম বা পানি খাওয়ার সময় শিক্ষার্থী হাত স্যানিটাইজ করছে কিনা নজর রাখতে হবে।
এছাড়া নির্দেশিকায় সবশেষে বলা হয়েছে, যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কনটেনমেন্ট জোনে থাকেন তারা এখনই স্কুলে আসতে পারবেন না।
ভারতের মতো দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের এত শর্তে স্কুলগুলি খোলা রাখা যাবে কিনা তাই এখন আলোচ্য বিষয়। তবে গতমাসে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্কুল খোলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জনিয়েছেন, রাজ্যে এখনই স্কুল খোলা উচিত হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২০
ভিএস/এএ