ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জিপিআইটি-বেসিস কর্মশালায় কপিরাইট

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১২
জিপিআইটি-বেসিস কর্মশালায় কপিরাইট

জিপিআইটি এবং বেসিসের যৌথ আয়োজনের পঞ্চম দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে। এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকাস্থ বেসিস অফিসে।

বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমাপনী দিনের কর্মশালার বিষয় ছিল ‘বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন এবং কপিরাইট আইন’। এতে সঞ্চালনা করেন জিপিআইটির আইন এবং করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জহরত আদিব চৌধুরী।

তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা ব্যবসায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অপার। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের মেধা এবং ব্যবসায়িক সফলতা প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার কৌশলে ব্যবসায়িক চুক্তিসহ ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন প্রয়োজন।

এ ছাড়াও দক্ষতা অর্জনসহ আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনে নিজের মুনাফা অর্জনের খুঁটিনাটি বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ থাকা একান্ত দরকার। অন্যদিকে কপিরাইট বা মেধাসত্ত্ব আইন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়্যার ব্যবসায় অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়।

সারাবিশ্বে প্রযুক্তি পণ্যের কপিরাইট, পেটেন্ট, লোগো এবং পণ্য প্রস্তুত প্রযুক্তি অনুকরণ বা নকল এ সব বিষয়ে বিখ্যাত পণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইনি লড়াই চলে হরদম। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ আইনের প্রয়োগ ততটা কার্যকর না হলেও এর প্রয়োজনীয়তা এবং এ আইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে কপিরাইট আইনে অভিজ্ঞ জহরত আদিব চৌধুরী কর্মশালায় বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের বিভিন্ন আইনি বিষয়ে আলোচনা করেন। জহরত আদিব চৌধুরী বলেন, একটি ভালো বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন একটি প্রতিষ্ঠানে যেমন লাভের হতে পারে, তেমনি দূর্বল চুক্তি লোকসানের কারণ হয়ে উঠে।

তাই বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনে যেকোনো প্রতিষ্ঠানেরই আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কপিরাইট আইনের বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন উন্নত বিশ্বে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কপিরাইট আইনের প্রয়োগ এবং ব্যবহারে দেশের স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি বাজার এখনও অপ্রস্তুত। তবে প্রস্তুতি গ্রহণ এবং এর প্রয়োজনীয়তা আছে। এ মুহূর্তে মেধাসত্ত্ব রক্ষা এবং এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক মুনাফা অর্জন ছাড়াও অন্যের কপিরাইট অধিকার সম্মান দেওয়া সফটওয়্যার শিল্পে খুবই অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে পেটেন্ট, লোগো, সেøাগান এবং সফটওয়্যার কোডিং বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়।

এ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া আইটি কনসালন্টে লিমিটেডের এসইও কাওসার আহমেদ বলেন, দেশে কপিরাইট আইনের চর্চা এখনও তুলনামূলক কম। এ আইনের সঠিক চর্চায় প্রয়োজন এ আইন প্রয়োগে ব্যবসায়িক সফলতা ও সুবিধা সর্ম্পকে জনসচেতনতা তৈরি। এ লক্ষ্য অর্জনে জিপিআইটি-বেসিস এটি সফল উদ্যোগ। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনে বিষয়ে আইনি তথ্য প্রদানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার ব্যবসায় নিয়োজিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আইন দক্ষতা বৃদ্ধিতে জিপিআইটি-বেসিস আয়োজন করেছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘নলেজ শেয়ারিং’ কর্মশালা। এটি শুরু হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় ৭ এপ্রিল।

সমাপনী দিনের প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমপিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প পরিচালক এবং উপসচিব সরকার আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়াও অতিথি ছিলেন জিপিআইটির ভারপ্রাপ্ত সিইও এএসএম নোমান ওয়াসি, বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান এবং জিপিআইটির ভারপ্রাপ্ত সিপিও মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ সময় ১৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।