দক্ষিণ এশিয়া ২০১০ সালে ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন এমবিলিয়ান্থ অ্যাওয়ার্ড প্রচলন করে। দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে মোবাইল ও টেলিকম শিল্পে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক পুরস্কার।
এরই মধ্যে এমবিলিয়ান্থ অ্যাওয়ার্ড ২০১২-এ মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। গত বছর দক্ষিণ এশিয়া থেকে ২০০টি প্রকল্প মনোনয়ন পায়। এর মধ্য ২১টি প্রকল্প চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়। এখানে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি প্রকল্প বিজয়ী হয়।
এ আয়োজনের স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডি.নেট সব উদ্যোক্তাদের এবং প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রকল্প জমা দেওয়া জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। আগ্রহীদের এমবিলিয়ান্থ অ্যাওয়ার্ডের নির্বাচনের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্প জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে আরও জানতে (http://mbillionth.in) এ সাইটে তথ্য পাওয়া যাবে। প্রথম পর্বে ফরম পুরণের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে। এখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ১১টি বিভাগ হচ্ছে এম-বিজনেস অ্যান্ড কমার্স/ব্যাংকিং, এম-কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ, এম-গভর্ন্যান্স, এম-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং, এম-এন্টারটেইনমেন্ট, এম-এনভায়রনমেন্ট, এম-হেলথ, এম-ইনক্লুশন, এম-ইনফ্রাস্ট্রাকচার, এম-নিউজ অ্যান্ড জার্নালিজম এবং এম-ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরিজম।
এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ ও সেবাপ্রদানে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটে গেছে। পুরো বিশ্বে এ অঞ্চল এখন দ্রুত সম্প্রসারণশীল বৃহত্তম মোবাইল ফোনের বাজারে পরিণত হয়েছে। যোগাযোগে অন্য যেকোনো মাধ্যম থেকে মোবাইল ফোন বেশি কার্যকর ও সূদুরপ্রসারী। আজকের দিনে মোবাইল ফোন শুধু পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমই নয় বরং উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং জ্ঞান বিকাশের অন্যতম মাধ্যমও বটে।
স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদানের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মোবাইল ও টেলিযোগাযোগে সৃজনশীল ও নতুন সেবা পদ্ধতি উদ্ভাবনে উৎসাহ প্রদান, কৌশলগত যোগাযোগে ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি, জোটবদ্ধতা ও অংশীদারীত্ব সৃষ্টি, দক্ষিণ এশিয়া কংগ্রেসকে ধ্যানধারণা বিনিময়, দৃঢ় নীতিনির্ধারণ ও মোবাইল অ্যাডভোকেসিতে সহায়তা প্রদান করা এবং সর্বোপরি দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন ও সাকূল্য উন্নয়ন প্রচারাভিযান প্রক্রিয়াকে সহজ করা।
ডি.নেট এমবিলিয়নস্থ দক্ষিণ এশিয়া ২০১২ পুরস্কারেরর স্থানীয় সহযোগী। ডি.নেট সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ জানুয়ারি ২০০১ সালে স্থাপিত হয়। নাগরিকের ক্ষমতায়নে ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে ‘তথ্য এবং জ্ঞানের জগতে প্রবেশাধিকার’ নিশ্চিত করাই ডি.নেটের মূল লক্ষ্য।
সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের সৃজনশীল প্রয়োগকে কাজে লাগিয়ে ডি.নেট সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগ্রহীরা আরও বিস্তারিত জানতে (http://mbillionth.in) এবং (www.defindia.net) সাইটে তথ্য পাওয়া যাবে। আর প্রয়োজনে (mbillionth@defindia.net) এ ঠিকানায় ইমেইলও করা যাবে।
বাংলাদেশ সময় ২১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২