শুরু থেকেই সামাজিক সাইটগুলোর চর্চায় প্রাপ্তবয়স্করা আসক্ত। এ মুহূর্তে কোমলমতি শিশুরাও ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
স্কুল পর্যায়ের এক প্রধান শিক্ষকের ভাষ্যমতে, টুইটার, ফেসবুক এবং বেবো শিশুদের নৈতিকতার অবক্ষয় হচ্ছে। কিছু সন্তোষজনক বিষয় যুক্ত থাকায় শিশুদের স্পর্শকাতর অনুভূতিগুলোকে দূর্বল করে। ফলে অসত্য এবং মিথ্যা চর্চার দিকে কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকে পড়ছেন।
এ সময়ের জনপ্রিয় সামাজিক সাইট যেন শিশুদের উৎসাহে যোগাচ্ছে বাড়তি খোরাক। আড্ডার ঘোরে এ সাইটে ডুবে থাকছে সারাক্ষণ। জন নিউটন, সমারসেটের ফি-পেইয়িং টাউনটন স্কুলের প্রধানের ভাষ্যমতে, শিশুরা ক্রমশই ফেসবুকসহ অন্য সব সামাজিক সাইটগুলোতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ‘পোজ’ সূত্র জানিয়েছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে উৎসাহিত করার আগেই তারা অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়ে। জন নিউটন জানান, অনলাইনে চ্যাট এবং তথ্য শেয়ারিং সাইটগুলো শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের উপকারে আসে।
স্যোশাল সাইট পোজ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের প্রথম শিক্ষাই হওয়া উচিত প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্কুল শিক্ষকদের নিষেধ মেনে চলা। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনাকাক্সিক্ষত এবং বিপথগামী পথগুলো এড়িয়ে চলা সম্ভব। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।
১৬ অক্টোবর অনলাইন নিউজ টেলিগ্রাফে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে শিশুদের উৎসাহ বেড়ে যাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ পেয়েছে। এ মুহূর্তে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুকের সঙ্গে জুড়ে আছে। তাছাড়া ১৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ টুইটারের নিবন্ধিত সদস্য।
উল্লেখ্য, গত বছরে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নিউরোসাইনটিস্ট এবং ওয়েল ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বেরোনেস গ্রিনফিল্ড জানান, কিছু ওয়েবসাইট শিশুদের আকর্ষণের দিকটা পুরোটাই খাটো করে রাখে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মুহুর্তেই উৎসাহিত করে এবং আরও বেশি স্বক্রিয় হতে প্ররোচিত করে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১০