বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সিমিউইফোর সাবমেরিন কেবল আপগ্রেডেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। এ উদ্যোগ সম্পর্কে বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এরই মধ্যে আপগ্রেডেশনের জন্য সিমিউইফোর কনসোর্টিয়ামকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ কাজের বর্তমান অগ্রগতির প্রশ্নে প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সাবমেরিন কেবল আপগ্রেডেশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিমিউইফোর কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পরবর্তী ১০ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সাইবার লিঙ্কে অতিরিক্ত ৬০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ যোগ হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএসসিসিএল সচিব আবদুস সালাম খান বাংলানিউজকে জানান, ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্ত ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ছিল ৭.৫ জিবিপিএস। পরবর্তীতে দ্বিতীয় আপগ্রেডেশনের ফলে তা ৪৪.৬ জিবিপিএস এসে পৌঁছেছে। এখন এর তৃতীয় এবং চূড়ান্ত আপগ্রেডেশনের কাজ হবে বলেও তিনি জানান।
সচিব আবদুস সালাম খান বাংলানিউজকে আরও জানান, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ আছে তাতে অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি না হলে ২০২১ সাল পর্যন্তু বাড়তি কোনো ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু ক্রমান্বয়ে যে হারে দেশব্যাপী ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়ছে তাতে ২০১৪ সালের মধ্যে এ ব্যান্ডউইথ ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
সুতরাং বাড়তি ব্যান্ডউইথের যোগান দিতে কেবল আপগ্রেডেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনেকটা নামমাত্র মূল্যে এ ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে বলে তিনি বাংলানিউজকে জানান। এর ফলে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে বলেও তিনি জানান।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশ্নে প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে দেশব্যাপী ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়বে। যা ব্যান্ডউইথের চাহিদাও বাড়িয়ে তুলবে। তাই ভবিষ্যতের এ চাহিদার মেটাতে এখনই এ আপগ্রেডেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৪২, অক্টোবর ৩১, ২০১০