বিশ্বের অবিশ্বাস্য সব প্রাযুক্তিক উদ্ভাবনার তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে প্রাযুক্তিক বৃক্ষ। তাইওয়ানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে খ্যাত তাইচুঙ্গে এ বৃক্ষসাদৃশ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
প্রযুক্তিনির্ভর এ বৃক্ষের নাম ‘ফোয়েটিং অবজারভেটরিস’। এমন নামকরণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এ বৃক্ষে মোট ৮টি ভাসমান পর্যবেক্ষণ কক্ষ থাকবে। এগুলো মূলত টাওয়ারের লিফট হিসেবে কাজ করবে। যার মাধ্যমে দর্শকরা টাওয়ারের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারবেন।
এ প্রযুক্তিনির্ভর বৃক্ষের পর্যবেক্ষণ কক্ষগুলো অনেকটা গাছের পাতার আদলে তৈরি করা হবে। এ টাওয়ারের উচ্চতা হবে এক হাজার ফুট। আর যুক্ত ভাসমান পর্যবেক্ষণ কক্ষগুলো ৮০ জন ব্যক্তির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন করে তৈরি করা হবে।
এ টাওয়ারের নকশা তৈরি করেছেন রোমানিয়ার স্থপতি স্টিফেন ডরিন। তিনি জানান, এ টাওয়ারটি একটি যাদুঘর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এতে থাকবে রেস্টুরেন্ট এবং পার্ক। টাওয়ারের তাপমাত্রার সমন্বয় এবং গরম পানি প্রবাহের জন্য সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
এ প্রযুক্তিতে প্রধাণ্য পাবে টারবাইন এবং সোলার সেল। নির্মাতা সূত্র জানিয়েছে, তাইওয়ান সরকারের অর্থায়নে এ টাওয়ার তৈরি কাজ শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০