ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকায় ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০
ঢাকায় ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ডি.নেট এবং ভারতের টক্সিস লিঙ্কের যৌথ উদ্যোগে ২৩ নভেম্বর সকালে ‘বাংলাদেশে টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক ইন সেন্টারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।



এ সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এ মুহূর্তের অবস্থা এবং কীভাবে পদক্ষেপ নিলে ঝুঁকিমুক্ত ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশবান্ধব আবহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার এ সেমিনারের প্রধান অতিথি এবং সেন্টার ফর গ্লোবাল চেঞ্জের (সিজিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ড. সারওয়ার উদ্দীন আহমেদ বলেন, বহুল ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পণ্য যেমন কমপিউটার, টিভি, রেফ্রিজারেটার, মোবাইল ফোন এক সময় ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। অচল হয়ে যাওয়া এসব ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে বর্জ্য তৈরি হয় যা পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিকর।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, এরই মধ্যে সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নীতিগত কাজ শুরু করেছে। এ মুহূর্তে দেশে সাধারণ বর্জ্য এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি নেই। শুধু খসড়া নীতি করা হয়েছে। সাধারণ বর্জ্য এবং ই-বর্জ্য নিয়ে চূড়ান্ত নীতি তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট সবার মতামত গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ সেমিনারের বিশেষ অতিথি এবং সেন্টার ফর গোবাল চেঞ্জের (সিজিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পল্যুটার পে নীতি’ এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ এ দেশের বেশিরভাগ জনগণ দরিদ্র। তাদের উপর বাড়তি করের ভার চাপানো যৌক্তিক নয়। বরং ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানীকারকদের উপর নির্দিষ্ট হিসাবের কর বসানো যেতে পারে।

ডি.নেট এর নির্বাহী পরিচালক ড. অনন্য রায়হান এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। উল্লেখ্য, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ‘ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং স্কুল অব বিজনেস’ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সারওয়ার উদ্দীন আহমেদ এ সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবস্থা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, কমজগৎ ডটকম এ সেমিনার অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩২৫, নভেম্বর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।