দেশের ১৫টি চিনিকলে একযোগে ই-পূর্জি ব্যবস্থাপনার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর সকালে তার কার্যালয় থেকে ক’জন আখচাষীর কাছে এসএমএস পাঠিয়ে ই-পূর্জি ব্যবস্থাপনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প যৌথভাবে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, এটুআই প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টেফান প্রিজনার।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সদস্য, কৃষিবিদ, খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং আখচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পূর্জি হচ্ছে আখচাষীদের কাছ থেকে আখ ক্রয়ের অনুমতিপত্র। এর মাধ্যমে আখ বিক্রির জন্য কোন দিন চাষীকে কী পরিমান আখ চিনিকলে আনতে হবে তা চিনিকলগুলো থেকে আখচাষীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। আগে চিনিকল কর্তৃপ আখচাষীদের কাছে চিরকুটের মাধ্যমে এ বার্তা পাঠাতো। এ পুরো প্রক্রিয়াটি এখন মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প গত বছর ফরিদপুর এবং মোবারকগঞ্জ চিনিকলে পাইলট প্রকল্প আকারে ই-পূর্জি বাস্তবায়ন করে।
পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পর এ বছর বাকী ১৩টি চিনিকলে ই-পূর্জি ব্যবস্থাপনা সফল করতে চিনিকলে আখচাষীদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা, প্রশিণ ছাড়াও প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে পূর্জির পাশাপাশি যে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আখচাষীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০