ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিসিএস কমপিউটার সিটিতে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ডিজিটাল পণ্যকেন্দ্রিক দেশের অন্যতম বৃহৎ কমপিউটার প্রদর্শনী। সিটিআইটি আয়োজক কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিজিটাল পণ্যভিত্তিক ১০ দিনব্যাপী ‘সিটিআইটি’ ২০১১ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। উদ্বোধনী বক্ত্যেবে তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর গত কয়েক বছরে দেশে তথ্যভিত্তিক প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
তিনি উল্লেখ্য করেন, সরকারিভাবে জনগণের দোরগোড়ায় স্বল্প সময় এবং ব্যয়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখন মোবাইল ফোনে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দেশজুড়ে সহজে সব ধরনের তথ্যসেবা পোঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, সব ধরনের কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। শিক্ষা মাধ্যমে প্রযুক্তিগত ব্যবহারে নতুন প্রজন্মের আগ্রহকে তিনি ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলালায়ন কমিউনিকেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব উল ইসলাম, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটিআইটি কমিটির সভাপতি এ.টি. শফিক উদ্দিন আহমেদ। আরও ছিলেন এ প্রদর্শনীর আহ্বায়ক এএল মজহার ইমাম চৌধুরী (পিনু)। উল্লেখ্য, প্রধান অতিথি বিসিএস কমপিউটার সিটির সামনে অবস্থিত প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে নির্মিত প্রযুক্তি ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম প্রদর্শনীতে থাকছে ‘নলেজ ম্যানেজমেন্ট জোন’। এখানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির আলোচিত আবিষ্কার দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হবে। প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রেক্ষাপটে তথ্যপ্রযুক্তি, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা ওয়াইম্যাক্সের মাধ্যমে মানব সম্পদের মানোন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির ভিন্ন ভিন্ন দিক নিয়ে থাকবে বিশেষ আয়োজন।
এছাড়াও প্রতিদিনই থাকছে বিশেষায়িত অনুষ্ঠান এবং কুইজ প্রতিযোগিতা। প্রদর্শনীতে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির সহায়তায় বিনামূল্যে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। বিশেষ আয়োজনে থাকছে গুণীজন সংবর্ধনা এবং বিশিষ্ট অতিথিদেরকে ক্রেষ্ট প্রদান।
এ প্রদর্শনীর ভেন্যু আগারগাঁওস্থ বিসিএস কমপিউটার সিটি। এরই মধ্যে বৃহৎ এ প্রদর্শনী সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষে বাংলানিউজকে এ কথা জানান এএল মজহার ইমাম চৌধুরি পিনু।
‘ডিজিটাল লাইফ, বেটার লাইফ’ স্লোগানের ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। এবারও শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
এরই মধ্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব অফার ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। নতুন বছরের শুরুতেই অনেকগুলো নতুন পণ্য দেশের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বাংলানিউজকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, এ প্রদর্শনীতে ডেস্কটপ পিসিকেন্দ্রিক সব ধরনের পণ্য, ল্যাপটপ, নোটবুক, নেটবুক, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং বিনোদনভিত্তিক ডিজিটাল পণ্য এবং সেবা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
এবারের ‘সিটিআইটি ২০১১’ প্রদর্শনীর আহ্বায়ক এএল মজহার ইমাম চৌধুরি পিন বাংলানিউজকে বলেন, ১০ দিনব্যাপী কমপিউটার পণ্যভিত্তিক প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আকর্ষনীয় সব আয়োজন আর অফার। তবে এবারে প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনই থাকবে বেশি।
সিটিআইটি প্রদর্শনীতে ১৬০টি স্থায়ী তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ মূল্যছাড় এবং আকর্ষণীয় উপহারসহ সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
এবারের আসরে দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন বেশি। এর মধ্যে শিশু চিত্রাঙ্কন, গেমিং, ডিজিটাল ফটোগ্রাফী, বিতর্ক, কুইজ এবং রক্তদান কর্মসূচি অন্যতম। আর প্রতিদিনের প্রবেশ টিকেটের উপর র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দেওয়া হবে আকর্ষণীয় সব পুরস্কার।
এ প্রদর্শনী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে থাকবে ওয়াইম্যাক্স জোন এবং দর্শনার্থীরা তা বিনামূল্যে তা ব্যবহার করতে পারবেন।
এবারের প্রদর্শনীর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন কমিউনিকেশন লিমিটেড। গোল্ড স্পন্সর ক্যাসপারস্কি, লাইটঅন, স্যামসাং এবং তোশিবা। আগ্রহীরা www.bcscomputercity.org.bd এ সাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮৫০, জানুয়ারি ১৩, ২০১১