ঢাকার আগারগাঁওস্থ বিসিএস কমপিউটার সিটির বার্ষিক আয়োজন হিসেবে সিটিআইটি পরিচিত। প্রতি বছরই বৃহৎ কলেবরে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এখন তাই প্রদর্শনীজুড়ে শুধুই তারুণ্যের কলরব আর ছোটাছুটি। উদ্দেশ্য ডিজিটাল সময়ের কোনো আধুনিকতাই যেন নজড়ের বাইরে না থাকে। জানতে হবে সবশেষ প্রযুক্তিপণ্যের খরব। এরপর চলছে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে সেরা পণ্যটি বেছে নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
তবে স্বল্পদামের নেটবুক, নোটবুক আর ল্যাপটপ ঘিরেই যেন সব উন্মাদনা। বাড়তি ইন্ধনে আছে এলসিডি আর এবারের চমক এলইডি মনিটরের লড়াই। এবারে এলসিডি মনিটরের সঙ্গে এলইডি বৈশিষ্ট্যের মনিটর আর টিভির ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে।
ঘরের ব্যবহারযোগ্য কমপিউটারের মনিটরকে অনেকেই বদলে নিতে চাইছেন ঘরের এলসিডি টিভি হিসেবে। তাই এলসিডি স্ক্রিনের তুলনায় এলইডি স্ক্রিনের কদর এখন তুঙ্গে।
হুনদাই দিচ্ছে ৩৩ হাজার টাকায় ২৭ ইঞ্চি পর্দার এলসিডি মনিটর। এটি টিভি হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য। ১৩,৮০০ টাকায় আসুস দিচ্ছে ২১.৫ ইঞ্চিবিশিষ্ট এলসিডি মনিটর। অন্যদিকে স্যামসাং ১৯,৬০০ টাকায় ২৪ ইঞ্চি এলসিডি মনিটর অফার করছে।
এলসিডি মনিটরের বাজারে প্রবেশ করেছে এওসি ব্র্যান্ড। উল্লেখ্য, ৭১০০ টাকায় ১৬ ইঞ্চি, ৮৩০০ টাকায় ১৮.৫ ইঞ্চি এবং ৯২০০ টাকায় ১৭ ইঞ্চি (স্কয়ার) এলসিডি মনিটর অফার করছে স্পিড টেকনোলজি।
নতুন চমক নিয়ে এসেছে এলজি। উল্লেখ্য, কোরিয়ার নির্মিত ৪২ ইঞ্চি এলসিডি পর্দার মনিটর অফার করা হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বেনকিউ ২২ ইঞ্চি পর্দার এলসিডি টিভি অফার করছে ২২ হাজার টাকায়। এছাড়াও ১১,২০০ টাকায় ২১. ইঞ্চি পর্দার এলসিডি এবং ১৩,৫০০ টাকায় দিচ্ছে এলইডি মনিটর। অন্যদিকে ১০,৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৮.৫ ইঞ্চি পর্দার এইচডি মনিটর।
ক্ষুদে আর ফ্যাশনেবল মডেলের পেনড্রাইভের প্রতিও দর্শনার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। এ মুহূর্তে বাজারে নতুন মডেলের অনেকগুলো ফ্যাশনেবল পেনড্রাইভ নিয়ে এসেছে ভেরিকো আর পিকিউআই ব্র্যান্ড। এ ব্র্যান্ড দুটির ৪জিবি পেনড্রাইভের দাম ৭০০ টাকা আর ৮জিবির দাম ১১০০ টাকায়। স্পিড টেকনোলজি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এবারের ১০ দিনব্যাপী সিটিআইটি প্রদর্শনীর আর মাত্র ক’দিন বাকি। এ মুহূর্তে তাই গত ক’দিনের তুলনায় বাড়তি দর্শনার্থীদের প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।
এবারের সিটিআইটি প্রদর্শনী প্রসঙ্গে বিসিএস কমপিউটার সিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএনএম কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এরই মধ্যে এবারের আয়োজন সফল হয়ে উঠেছে। শীতের বৈরী আচরণেরও দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ, বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা, মূল্যছাড় আর বিক্রির সব দিক থেকেই এবারের প্রদর্শনী উল্লেখ করার মতো সফলতা পেয়েছে। আর প্রদর্শনীর বাকি ক’দিনেও একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি মনে করেন।
একদিকে অপেক্ষাকৃত মূল্যছাড় আর অন্যদিকে নিশ্চিত উপহারের কারণে ক্রেতারা প্রদর্শনী সময়েই পণ্য কিনছেন বলে কামরুজ্জামান জানান। অবশিষ্ট ক’দিনে অফার আরও আকর্ষণীয় হতে পারে বলে সূত্রে জানানো হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১০