ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হলো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪
তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হলো ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) পেশাজীবীদের আন্তর্জাতিক দক্ষতা পরিমাপের সুযোগ হওয়ায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আইসিটি ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হলো। আশা করি আমাদের তরুণ ছেলে-মেয়েরা আগামী আন্তজার্তিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য বয়ে আনবে।



সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই প্রথম ইনফরমেশন টেকনোলজি প্রফেশনালস এক্সামিনেশন কাউন্সিল-আইটিপিইসি, জাপান এর সদস্যপদ লাভ করলো। বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশফাক হোসেন ও ইনফরমেশন টেকনোলোজি প্রমোশন এজেন্সির (আইপিএ) পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান হিসায়া তানাকা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানের আইসিটি পণ্য ও সেবা উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিকমানের জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত মানবসম্পদ উন্নয়ন করা প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও আইসিটি শিল্পের দক্ষতা চাহিদার মধ্যে যে পার্থক্য তা নিরসনে একটি সার্টিফিকেশন এর দরকার ছিলো। জাপানের আইটি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন (আইটিইই) তেমনই একটি পরীক্ষা। তাই আইটিপিইসি, জাপানের সদস্য হওয়ায় এখন খুব সহজেই আমাদের দক্ষতা পরিমাপ করা যাবে।

লতিফ সিদ্দিকী তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের সমস্যাগুলো তুলে ধরে বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই, ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, ই-সেবা উদ্ভাবন নেই ও ই-গভর্নেন্স নিশ্চিত করা ইত্যাদির অভাব রয়েছে। এগুলোকে কাটিয়ে উঠে আয় বর্ধনকারী জাতিতে পরিণত হতে হবে। অন্যথায় কেবল ভোক্তা হিসেবে পরিণত হবো আমরা।

এদেশে ১০ কোটি ৬০ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন। কিন্তু তাদের কাছে এখনো আমাদের উদ্ভাবিত আইসিটি পণ্যকে নিয়ে যেতে পারিনি। এজন্য আগে আমাদের নিজেদের বাজারকেই অতিক্রম করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, দেশে ব্রডব্যান্ডের সংযোগ খুবই দুর্বল। এখনো আমরা শক্তিশালী ব্রডব্যাণ্ড সংযোগ দিতে পারিনি। এটা আইসিটি ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আগামী চার বছরের মধ্যে এক্ষেত্রে বৈপ্লবিক সাফল্য আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, অচিরেই বাংলাদেশ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ রফতানি করা সম্ভব হবে। আর্ন্তজাতিক চাকরির বাজারে তথ্য-প্রযুক্তি পেশাজীবীদের দক্ষতা পরিমাপে বাংলাদেশের আইটিপিইসি’র সদস্যপদ লাভ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ছাড়াও বর্তমানে জাপান, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও মঙ্গোলিয়া আইটিপিইস’র সদস্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সিরো সাদোসিমা, জাইকা’র বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতায়েদা, জাপান এক্সর্টানাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেটরো) প্রতিনিধি কিও কায়ানো, জাপানের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ মহাপরিচালক হিদিইয়োকি ওয়াসি, ও প্রকল্প পরিচালক ড. শেখ আমজাদ  হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪

** আইটিপিইসি’র নতুন সদস্য বাংলাদেশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।