ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৫ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহকের টার্গেট গ্রামীণফোনের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৪
৫ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহকের টার্গেট গ্রামীণফোনের ছবি: বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রমকারী প্রথম মোবাইল টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে অগ্রযাত্রা অটুট রেখেছে গ্রামীণফোন।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।



সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ জানান, আগামী পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহককে নিজস্ব নেটওয়ার্কের আওতায় আনার টার্গেট নিয়েছে। বর্তমানে গ্রামীণফোনের সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসেবে বর্তমানে সবগুলো মোবাইল অপারেটর ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়েছে।  
 
বিবেক সুদ বলেন, গ্রাহকদের নিয়েই আমাদের এ মাইলফলক উদযাপন। আমরা যখন যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন আমাদের অঙ্গীকার ছিল গ্রাহকদের জন্য আপোষহীন সেবা প্রদান। আমি আজ আনন্দিত, কারণ আমরা আমাদের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হইনি।

এখনও গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম সেবা দিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গ্রাহক সেবাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য, বলেন বিবেক সুদ।

তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহক, সহযোগী, রেগুলেটর এবং অন্যান্য অংশীদারদের অক্লান্ত সমর্থন ছাড়া আমরা এতদূর আসতে পারতাম না।
৫ কোটি গ্রাহকের এ মাইলফলক উদযাপন শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের জন্যই নয়, এমনটি জানিয়ে ‘একসাথে উদযাপনের’ উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় সব অফারের তালিকা তুলে ধরেন চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) অ্যালান বনকে।

উদযাপনের আওতায়, গ্রামীণফোন থ্রিজি গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ডিভাইসে বিদ্যমান ইন্টারনেট প্যাকেজে কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই দ্বিগুণ ইন্টারনেট গতি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও জিপি নেটওয়ার্কের আওতায় গ্রাহকরা প্রতি ১০ সেকেণ্ড পালসে ৫ পয়সার বিশেষ রেট উপভোগ করতে পারবেন, সীমিত সময়ের জন্য।

সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদানকারী অপারেটর হিসেবে আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিয়ে উদযাপন করছি। সবচেয়ে বড় উদযাপনের অংশগ্রহণে সবাইকে স্বাগতম, বলেন সিএমও।

গ্রামীণফোনের প্রথম এবং ৫ কোটিতম গ্রাহক এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তাদেরকে বিশেষ স্মৃতিস্মারক দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

গ্রাহক কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি গ্রামীণফোন ‘কাস্টমার ফার্স্ট’ উদ্যোগের আওতায় কর্মকর্তাদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। যার মাধ্যমে কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন। গ্রাহকদের মতামত জানতে এবং তাদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্রামীণফোন প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন উপায় খুঁজে নিচ্ছে।

১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক এখন গ্রামীণফোনের। ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ লক্ষ্যের আওতায় গ্রামীণফোন প্রথম অপারেটর হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় থ্রিজি সেবা পৌঁছে দিয়েছে। দেশজুড়ে বর্তমানে গ্রামীণফোনের ৮,৬০০টি বেস স্টেশনের  মাধ্যমে ৯৯% জনগণের মাঝে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে।

সর্বপ্রথম অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোন ১৯৯৯ সালে প্রি-পেইড সেবা ও আন্তর্জাতিক রোমিং সেবা, ২০০০ সালে ওয়্যাপ সেবা, ২০০৫ সালে এজ সেবাসহ অনেক সুবিধাই গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারটের এবং মোবাইল ইন্টারনেটের অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার এবং গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে।

লাইলী বেগম হলেন প্রথম গ্রামীণফোনের গ্রাহক। আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানিত করা হয়। একইসঙ্গে ৫ কোটিতম গ্রাহক হিসেবে যার নাম অন্তর্ভূক্ত হয় তাকেও সম্মানিত করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৪

** গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৫ কোটি ছাড়ালো

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।