ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইটিইউ’র সদস্য নির্বাচনে

‘কম খরচে বেশি ভোট’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৪
‘কম খরচে বেশি ভোট’ ছবি : নাজমুল হাসান /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘কম খরচে বেশি ভোট আদায় করেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলো যেভাবে দামি উপহার সামগ্রী ও অর্থ খরচ করেছে, আমরা তা করতে পারিনি। কিছুটা অর্থ সংকটের মধ্য দিয়েই আমরা কাজ করেছি। ’
 
দ্বিতীয় মেয়াদে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) সদস্য নির্বাচনের ব্যয় সম্পর্কে এভাবেই উত্তর দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের দ্রুত উন্নয়নে অচিরেই ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফায়জুর রহমান বলেন, বেশি অর্থ খরচ করার সার্মথ্যই আমাদের নেই। এরপরেও আমরা নির্বাচিত হতে পেরেছি আমাদের যোগ্যতা দিয়ে।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সেল পরিচালনা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কর্মকর্তাও খোঁজা হচ্ছে। আইটিইউ’র যতগুলো প্রশাখা রয়েছে, আমরা তা গঠন করবো। এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।  

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আইটিইউ’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে নিজস্ব স্লট নিতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ফের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন আমাদের সাফল্যের চূড়ান্ত স্বীকৃতি। ইন্টারনেট গ্রাহক এখন চার কোটির ওপরে, ২৫০ মিলিয়ন ডলার আইসিটি রফতানি আয়। এসব সাফল্য চার বছরে আমাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই ফের নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফায়জুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন।  

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইটিইউ’র সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের বিরাট সুযোগ তৈরি হলো। এটি বিজয় ভিশন- ২০২১ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। চীন, জাপানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
 
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০২১ সালের আগেই দেশকে ডিজিটাল করে তুলবো। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইটিইউ’র সদস্য নির্বাচিত হওয়া এবং পুরস্কার দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে সাফল্য পাচ্ছি, তা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।  
  
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সম্প্রসারণের জন্য আইটিইউ’র কৌশল সহায়তা গ্রহণ, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
 
১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। আগামী চার বছরের জন্য বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ১৯৩টি দেশ ভোটাধিকার করে। দক্ষিণ কোরিয়ার বুশানে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। এজন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ও ভোট পেতে প্রচারণা কাজে বর্তমান সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।