ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

উপজেলায় যাচ্ছে ৩জি ও গ্রামে ২.৫জি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
উপজেলায় যাচ্ছে ৩জি ও গ্রামে ২.৫জি

ঢাকা: মহানগরসহ দেশের সবগুলো জেলা শহর আগে থেকেই ৩জি প্রযুক্তি সেবার আওতায় রয়েছে। এবার উপজেলা শহরগুলোকেও উচ্চগতির ৩জি সেবার আওতায় আনা হচ্ছে।

পিছিয়ে থাকছেন না গ্রাম পর্যায়ের গ্রাহকরাও। তারাও আসছেন ২.৫জি সেবার আওতায়।

উপজেলা ও গ্রামে উচ্চগতির প্রযুক্তি সেবা দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ‘৩জি প্রযুক্তি চালুকরণ এবং ২.৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন এ প্রকল্পের আওতায় দেশের সব উপজেলা শহর, গ্রোথ সেন্টার, বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য স্থানে ৩জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। এই সেবা দিতে উপজেলা শহরগুলোতে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ এক হাজার ২০০ বেজ স্টেশন স্থাপন করা হবে। আর গ্রামাঞ্চলে ২.৫জি বাড়াতে ৫০০টি বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) টাওয়ার করা হবে। গ্রামে এ সেবা দিতে আনুষঙ্গিক ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতিসহ ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ও উন্নত প্রযুক্তির কোর নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।

এছাড়া, এ প্রকল্পের আওতায় যেসব স্থানে ইতোমধ্যে ৩জি চালু করা হয়েছে, সেসব স্থানে হাইস্পিড প্যাকেজ একসেস (এইচএসপিএ) পদ্ধতি স্থাপন করে সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৮ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ ‍সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। দেশের সবগুলো মহানগর, বিভাগীয় শহর, সব জেলা ও উপজেলা শহর এবং গ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

এ বিষয়ে আলাপ করলে প্রকল্পের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রেজাউল কবির বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে জেলা শহরে ৩জি আছে, কিন্তু উপজেলা শহর পর্যায়ে নেই। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা শহর পর্যায়ে ৩জি সম্প্রসারণ করা হবে। একইসঙ্গে গ্রাম পর্যায়ে ২.৫জি সম্প্রসারণ করা হবে। প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে পারলে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারে যে ঝামেলা হচ্ছে তা আর থাকবে না। উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের গ্রাহকেরা ঝামেলা ছাড়া ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

তিনি জানান, বিভিন্ন দিক বিবেচনায় প্রকল্পটি হাতে নিচ্ছে সরকার। রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সামাজিক সাম্য, উৎপাদনশীলতা, জনসেবা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, শিল্প ও গবেষণা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেবা বাড়ানো হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়,  প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেজ স্টেশন স্থাপন করে কভারেজ এরিয়া বৃদ্ধি করে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানো হবে। নতুন করে ব্যান্ড উইথ’র প্রয়োজন না হওয়ায় গ্রাহক প্রতি ওভারহেড ব্যয় এবং পরিচালনা ব্যয় কমে আসবে। এর ফলে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকরা ভয়েস কল করার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ৩জি সেবা চালু করে, তখন অনেকে এই পদ্ধতিকে ভিন্ন চোখে দেখেছিল। অনেকে ভেবেছিল ৩জি প্রযুক্তি মানুষ গ্রহণ করবে না। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখছি, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষও ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তাই আমরা উপজেলায় ৩জি ও গ্রামে ২.৫জি প্রযুক্তি চালু করবো।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায়। তাই অদূর ভবিষ্যতে কিছু স্থানে ৪জি চালু করবে মন্ত্রণালয়, সেই পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এমআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।