ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

লক্ষ্য এবার ১ কোটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫
লক্ষ্য এবার ১ কোটি

ঢাকা: ইন্টারনেট এবং এর সুবিধা সম্পর্কে কমপক্ষে এক কোটি মানুষকে অবহিত করতে প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ‘ইন্টারনেট সপ্তাহ’।
 
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং গ্রামীণফোনের উদ্যোগে ৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে এই সপ্তাহ উদযাপন করা হবে, থাকবে বিভিন্ন আয়োজন।


 
ইন্টারনেট সপ্তাহ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের লক্ষ্য সবার জন্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা। প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট সপ্তাহ উদযাপন করে আমরা কমপক্ষে এক কোটি মানুষকে ইন্টারনেট সেবার সুবিধাগুলো সম্পর্কে জানাতে চাই।

আয়োজনে ঢাকা, সিলেট এবং রাজশাহী শহরসহ দেশের ৪৮৭টি উপজেলায় ইন্টারনেট বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
 
আজমান বলেন, সরকার এবং বেসিস’র সঙ্গে গ্রামীণফোনের সব কর্মীরা এ আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করি আমরা একটি সফল সপ্তাহ কাটাবো এবং যারা ইন্টারনট সম্পর্কে এখনও জানেন না তাদের কাছে পৌঁছাতে পারবো।
 
ভয়েস সেবায় সফলতার পাশাপাশি গ্রামীণফোন এখন ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সব গ্রামীণফোন গ্রাহকদের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর জন্য ইতোমধ্যেই আমরা একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। গ্রামীণফোনের দেড় কোটি গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
 
আজমান বলেন, আমাদের দেশে ইন্টারনেট সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এখনও সচেতন নন। গ্রামীণফোন বছর দুয়েক আগে থেকে ‘ইন্টারনেট ফর অল’ লক্ষের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। মানুষকে সচেতন করতেই গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সপ্তাহ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণফোন সারাদেশে দ্রুত থ্রিজি সেবা ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং সবগুলো জেলা শহরের পর এখন অধিকাংশ উপজেলা শহরেও থ্রিজি নিয়ে পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী হ্যান্ডসেটের দাম কমিয়ে আনতেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু করতে নিজেরা সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও উৎসাহ দিচ্ছে।
 
থাইল্যান্ডের উদাহরণ টেনে আজমান বলেন, থাই কৃষকরা টেলিনরের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ডিটাকের মাধ্যমে কৃষিখাতের ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। আমরা মনে করি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ধরনের সেবা বাংলাদেশেও সম্ভব। চলতি সময়ে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গ্রামীণফোন তাই বরাবরের মতো এই প্রযুক্তির সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এমআইএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।