ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিআরসি’র ‘অলস টাকায়’ বৃদ্ধ নিবাসে ইন্টারনেট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
বিটিআরসি’র ‘অলস টাকায়’ বৃদ্ধ নিবাসে ইন্টারনেট ডাক ও টেলিযোগাযাগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

ঢাকা: ‘ফ্রুটফুল’ সময় কাটাতে বিটিআরসি’র ‘অলস টাকায়’ বৃদ্ধ নিবাসে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে বিনোদন ও গবেষণার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযাগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে টেলিকম খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক  বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনা জানান তিনি।


 
প্রতিমন্ত্রীর হিসাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে অলস পড়ে রয়েছে ৭২৫ কোটি টাকা। নীতিমালা অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন খাতে এ টাকা ব্যয় করা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
এ অলস টাকায় ওয়াইফাই হটস্পট, দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টেলিযোগাযোগ সেবায় ব্যয়ের পরিকল্পনার কথাও জানান তারানা হালিম।
 
অলস তহবিলকে সেবা কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ, উন্নয়ন ও পরামর্শমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।
 
তিনি বলেন, দুর্গম এলাকা যেমন- চা বাগান এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম, হাওড় এলাকা, বন্যা দুর্গত এলাকায় পানি উঠে যায়, সে সমস্ত জায়গায় ‘কম্পিউটার গ্রাম’ বা ‘কম্পিউটার হাট’ করবো। সেখানে কম্পিউটার থাকবে, কানেকটিভিটি থাকবে, সেখানকার গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেবো। এটা একটা স্কুলের মত হবে। পরবর্তীতে যেন বাচ্চারা কম্পিউটার জ্ঞান নিয়ে বড় হয়।
 
দেশের বৃদ্ধ নিবাসগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগসহ ও কম্পিউটার দেওয়ার কথাও বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, বৃদ্ধ নিবাসে তারা সময় কাটান, তাতে তাদের সন্তানদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। অত্যন্ত অলস-নিসঙ্গ সময় কাটান। এ বৃদ্ধ নিবাসগুলোতে যদি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দেই তাহলে তাদের বিনোদনের সুযোগ হবে এবং তারা স্ট্যাডি করতে পারবেন।
 
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ওয়াইফাই হটস্পট তৈরি করতে পারি কি-না, এ বিষয়টাও চিন্তা করা হচ্ছে।
 
ভূমিধসের আগাম বার্তার যে যন্ত্রপাতি, তার স্বত্ত্ব কিনে নিতে পারি কি-না, জনগণের করের টাকা এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে।
 
কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জেলায় জেলায় তরুণদের গবেষণার কাজে ব্যবহার, টেলিযোগাযোগ খাতে গবেষণা কতোটুকু এবং তা কার্যকর তাতে বিনিয়োগ করতে পারি কি-না- তাও চিন্তা করা হচ্ছে।    
 
বিভিন্ন প্রকল্পের স্বচ্ছতার পাশাপাশি যেন ধীরগতি না থাকে তার জন্য সময় নির্ধারণ করে তা বাস্তবয়নের ওপরও জোর দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় সচল থাকলে সকলে সচল হয়। ব্যুরোক্রেসিকে দ্রুতগতির করার আলামত দেখতে পাচ্ছেন মনে হয়।
 
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস তহবিলের টাকা কোন কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায় তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান।
 
তিনি বলেন, তহবিল খরচের বিধির মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় আছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভূমিকম্পের সময় স্যাটেলাইট ফোন দিয়ে দুর্গত এলাকায় যেতে পারি। এজন্য স্যাটেলাইট ফোনের কাজে এ টাকা লাগাতে পারি।
 
অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
 
বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব মোবাইল ফোন অপারেটরকে গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তারানা হালিম।
 
তিনি বলেন, টেলিটককে বাজারে প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াক। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যেন প্রতিযোগিতায় উপযুক্ত হতে পারে।
 
তিনি বলেন, আমরা সেবরকারি খাতকে অবশ্যই চাই। তারা বৈধ সুবিধা নিয়ে বৈধভাবে কাজ করবে। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের বেসরকারি খাতকেও প্রয়োজন। কিন্তু বৈধভাবে বৈধ সেবা দিয়ে কাজ করে যাবে। এজন্য আমরা একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে চাই, যাতে টেলিটক স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসাবে টিকে থাকতে পারে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।