ঢাকা: আধুনিক বিশ্বে সহজে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে সবখানে ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক। তার ব্যবহার না করেই একসঙ্গে অনেক ডিভাইস ব্যবহারের অভিনব উপায় ওয়াইফাই।
ব্যবহারে সুবিধা থাকলেও ওয়াইফাইতে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াইফাই একটি নীরব ঘাতক, যা ধীরে ধীরে মানুষের শরীরের ক্ষতি করে।
ওয়াইফাইতে অনলাইন সংযোগ পেতে তারবিহীন ডিভাইস যেমন- ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ও মোবাইলফোনে রাউটার ব্যবহার করা হয়। রাউটার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক নামক তরঙ্গ প্রবাহিত করে যা WLAN সংকেত বলে আমরা জানি। এই সংকেতটিই মূল ক্ষতির কারণ।
ব্রিটিশ হেলথ এজেন্সির একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, রাউটার গাছের বৃদ্ধি ও মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ওয়াইফাই কাভারেজের ফলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
• তীব্র মাথাব্যথা
• দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
• ঘুমের সমস্যা
• কানে ব্যথা
• মনোযোগের অভাব
এসব লক্ষণ কমবেশি সবারই দেখা দেয়। কিন্তু ওয়াইফাই যে শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তা খুব মানুষই জানেন। কিন্তু একথাও ঠিক, ওয়াইফাই ছাড়া এখনকার সময় কোনো কাজ করা কঠিন। সেক্ষেত্রে একটি উপায় রয়েছে, তা হলো ওয়াইফাইয়ের ক্ষতিক্ষর প্রভাবগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
নিরাপদে রাউটার ব্যবহারের জন্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো-
• ওয়াইফাই ব্যবহারের পর তা বন্ধ করে দিন।
• রাতে ঘুমানোর আগে নিশ্চিত করুন আপনার ওয়াইফাই সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
• রাউটার শোবার ঘর ও রান্নাঘরের কাছে রাখবেন না।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এসএমএন/এএ