ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সিম পুনঃনিবন্ধনের সুযোগ ঘরে বসেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
সিম পুনঃনিবন্ধনের সুযোগ ঘরে বসেই

ঢাকা: মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। আর সিমকার্ড নিবন্ধিত কিনা বা সঠিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কিনা- তা জানা যাবে ঘরে বসেই।



এজন্য গ্রাহকদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে না বলে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

ঝামেলা এড়াতে মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস ও অপারেটরের ওয়েবসাইট থেকে সিম নিবন্ধন বা পুনঃনিবন্ধন করা যাবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন। এছাড়া ২০১২ সালের পর কেনা সিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তথ্য পাঠিয়ে নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাই করতে পারবেন।

টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের সিম নিবন্ধনের জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।  

সিটিসেলের গ্রাহকেরা এসএমএস অপশনে গিয়ে ক্যাপিটাল লেটারে U লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠাবেন।

ফিরতি এসএমএসে ‘Your request has been accepted, Thank you for the information’ লেখা আসবে। এরপর আরেকটি ফিরতি এসএমএসে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে সিম সঠিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কিনা। এসএমএসের জন্য কোনো চার্জ কাটা হবে না।

২০১২ সালের আগে কেনা মোবাইল সিমের বিপরীতে বিভিন্ন তথ্য (জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বাবা-মায়ের নাম ইত্যাদি) চেয়ে ১৫ অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে, যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিম নিবন্ধন না করা হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে গ্রাহক উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করার কথা জানায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

আগামী ১ নভেম্বর থেকে অপারেটররা নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার/কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে বায়োমেট্রিকস (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতি চালু করবে। আর ১৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয়ভাবে সারা দেশে এই পদ্ধতি চালু হবে।  
 
১৮ বছরের নিচে কারও কাছে সিম বিক্রি করা যাবে না, সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের তাদের অভিভাবকের (মা-বাবা) নামে সিম নিবন্ধন করতে হবে।

ভুয়া পরিচয় ও নিবন্ধন না করে সিম কিনে অপরাধীদের ব্যবহার ঠেকাতে গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

গত ২১ অক্টোবর সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৬টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৬ হাজার।
২০১৬ সালের মে মাস থেকে অনিবন্ধিত সিমের জন্য অপারেটরদের সিম প্রতি পঞ্চাশ ডলার জরিমানার বিধান কার্যকর করা হবে বলে এর আগে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।