ঢাকা: সকল ক্যাটাগরিতেই বিশ্বের শীর্ষ ‘মোস্ট স্যোশালি ডিভোটেড ব্র্যান্ড’ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। রবিই বাংলাদেশের একমাত্র ব্র্যান্ড যারা এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এ ঘোষণা দিয়েছে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন বিশ্লেষক পাবলিশিং কোম্পানি স্যোশাল বেকারস।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবি জানায়, বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোকে পেছনে ফেলে আকাঙ্ক্ষিত এ অবস্থান নিশ্চিত করেছে রবি। র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করতে স্যোশাল বেকারস মূলত অনলাইনে ফ্যানদের প্রশ্ন সংখ্যা, উত্তর প্রদানের সময়সীমা, উত্তর প্রদানের হার ইত্যাদি বিষয়গুলোকে বিবেচনায় এনেছে।
এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেলিকম ক্যাটাগরিতে রবি’র ফেসবুক পেজকে ‘মোস্ট স্যোশালি ডিভোটেড ব্র্যান্ড’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল স্যোশাল বেকারস।
২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র ফেসবুক পেজে উত্তর প্রদানের হার ছিল রেকর্ড সংখ্যক ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে গ্রাহক ও শুভাকাঙ্খীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে রবি। অন্যান্য অন্যতম শীর্ষ স্যোশালি ডিভোটেড ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে ৫ গুণ বেশি ফ্যান থাকা সত্ত্বেও রবি এ স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
স্যোসাল বেকারস’র মতে, স্যোশালি ডিভোটেড ব্যান্ডগুলো গ্রাহক সেবার পরিবর্তিত ধারাটির সঙ্গে তাল মেলাতে পেরেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও উদ্যমী গ্রাহকরা রয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যারা বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর ও ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করেন।
ফেসবুক বা টুইটারে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ ব্র্যান্ড রেসপন্স থাকলে সেই কোম্পানিকে স্যোশালি ডিভোটেড ব্র্যান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকার ফলাফলটা খুবই পরিস্কার- স্যোশালি ডিভোটেড ব্র্যান্ডগুলো তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় প্রতিযোগী কোম্পানিগুলো থেকে পারস্পরিক যোগাযোগে সাড়ে তিন গুণ বেশি এগিয়ে।
২০১০ সালের মার্চে রবি ফেসবুক পেজের যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে অনলাইনে গ্রাহকদের অংশগ্রহণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত কয়েক বছরে প্রশ্নের সংখ্যা প্রায় দশগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মানে কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে জানার জন্য গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও বেশি সক্রিয় হচ্ছেন।
গত কয়েক বছরে রবি অনেক অনেক অভিবাদন এবং গ্রাহকদের মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করেছে। ২০১৩ সালে বিশ্বের বৃহত্তম মানবপতাকা তৈরির সাফল্য অর্জনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এ মাধ্যমে আরও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় মন্তব্যকেই বিবেচনায় আনে রবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর