ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ নতুন নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
রোববার (১৩ ডিসেম্ব) রাতে মোবাইল অপারেটর ও টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
একটি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের একজন কর্মকর্তা রাত পৌনে ১১টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, কিছু সময় আগে টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধে বিটিআরসি থেকে নির্দেশ এসেছে।
তবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী রাত ১১টায় বাংলানিউজকে বলেন, নির্দেশনা নতুন নয়। ফেসবুক খুলে দিলেও অন্যান্য মাধ্যমগুলো লিক করছে। আর লিক যেন না হয় সেজন্য বন্ধ থাকার নির্দেশনাটি মনে করিয়ে দিয়েছে বিটিআরসি। এটা নতুন কোনো নির্দেশনা নয়। পূর্বের নির্দেশনার পুনরাবৃত্তি।
শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে সামনে রেখে গত ১৮ নভেম্বর ফেসবুক, ভাইবার, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটঅ্যাপ, ট্যাঙ্গো, লাইনসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সাময়িক বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু কেউ কেউ বিকল্প পথে ব্যবহার করে আসছিলো।
বন্ধের ২৩ দিনের মাথায় গত ১০ ডিসেম্বর ফেসবুকের সঙ্গে এর অ্যাপস ম্যাসেঞ্জার খুলে দেয়া হলেও অন্যান্য মাধ্যমগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে চালু ছিলো টুইটার।
আইআইজি অপারেটরের ওই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যাঙ্গো ও লাইন বন্ধ আছে। এর সঙ্গে টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ এলো।
এদিকে, বিটিআরসি ও আইআইজি অপারেটরের কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারনেট পুরোপুরো বন্ধ না হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমআইএইচ/আরএইচ
** টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ