ঢাকা: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিমকার্ড রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের পর্যালোচনা বিষয়ক এই সভায় যোগ দেন জয়।
বৈঠক শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, একটি এনআইডি’র বিপরীতে একজন গ্রাহকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর বেশি সিম থাকলে তা বন্ধ হয়ে যাবে, সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় তা বোঝা যাবে।
‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নির্দেশনা দেবে। ’
তবে কোন মোবাইল অপারেটরের কতটি সিম রাখা যাবে সে বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তবে করপোরেট গ্রাহকদের জন্য এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রাহক সিম ব্যবহার করছে তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেলে কোনো সমস্যা না হয়।
এর আগে একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এক এনআইডি দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
বিটিআরসি’র সর্বশেষ অক্টোবর মাসের তথ্যানুযায়ী, দেশে ছয়টি মোবাইল অপারেটরের সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহক বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন নিয়ে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কয়টি সিম রাখতে পারবেন সেই সংখ্যা বেঁধে দিতে এই উদ্যেগ।
সম্প্রতি বিটিআরসি একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দিয়ে ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠায়।
একজন গ্রাহক তার এনআইডি দেখিয়ে এক অপারেটরের পাঁচটির বেশি সিমের মালিক হতে পারবেন না বলেও প্রস্তাব ছিল।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এমআইএইচ/আরআই