এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা)।
সংগঠনটি প্রতি বছর এই অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে আয়োজন করে থাকে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড।
২ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাইওয়ানের তাইপেতে বসে এ বছরের অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডের আসর।
অনুষ্ঠিত অ্যাপিকটা নির্বাহী কমিটি সভায় এর সদস্যভুক্ত ১৬টি দেশের প্রতিনিধিদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পরবর্তী বছরের জন্য আয়োজক দেশের নাম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড আয়োজন নিয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন।
এই অর্জনে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০১৫ সালে অ্যাপিকটার সদস্য হওয়া বেসিসের জন্য এটি একটি বিশাল প্রাপ্তি। জাপান থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ১৬টি দেশের প্রতিযোগিতার এই আয়োজন বাংলাদেশকে বিরল সম্মান এনে দিয়েছে।
প্রতিযোগিতার এই আসরে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিযোগি ১৭টি ক্যাটেগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। সেই অনুযায়ী এই অঞ্চলের প্রায় ছয় শতাধিক প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করাতে ও রপ্তানীর বাজার বাড়াতে এই আয়োজন আমাদেরকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, এ বছরের এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে প্রধান বিচারক হিসেবে মোস্তাফা জব্বার সহ আরও ৩ জন যথাক্রমে রাসেল টি আহমদ, এম রাশিদুল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল যোগ দেন।
বাংলাদেশের সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন উত্তম কুমার পাল। এছাড়া মোট ১৪টি প্রতিযোগি দল এতে প্রতিদ্বন্দীতা করে ক্রান্তি অ্যাসোসিয়েটস সম্মাননা পুরস্কার লাভ করে।
বাংলাদেশ সহ অ্যাপিকটার সদস্য দেশের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, চীন, চীনা তাইপে, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং নেপাল।
২০১৭ সালে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার পুরো প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
এসজেডএম